স্ট্রিম প্রতিবেদক

জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ‘সো-কল্ড’ বা তথাকথিত উল্লেখ করাকে ধৃষ্টতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আজকের এই রাষ্ট্র যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত। সেই মহান অর্জনকে তথাকথিত বলা আদালত অবমাননার শামিল।
রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে আইনসম্মতভাবে সমালোচনা বা দ্বিমত করার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া কিংবা রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করার অধিকার কারও নেই। তিনি উল্লেখ করেন, জুলাইয়ের মহান অভ্যুত্থানের পেছনে ১ হাজার ৪০০ মানুষের রক্তদান, ২৫ হাজারের মতো মানুষের অঙ্গহানি এবং অজস্র মানুষের চোখের পানি জড়িয়ে আছে। এমন একটি বিপ্লবকে ‘সো-কল্ড’ বলা ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ধরনের কথা আদালতে বলার অধিকার কোনো আসামির নেই।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল সংবিধানের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এবং বিশেষ আইন দ্বারা সুরক্ষিত। তাই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে দাঁড়িয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ আসামিপক্ষের নেই। তবে আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের সব সুযোগ পাবেন এবং প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য-প্রমাণ চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।
চিফ প্রসিকিউটরের এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর একটি রিভিউ আবেদনকে কেন্দ্র করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে তথাকথিত উল্লেখ করে বিচার শুরুর আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেছিলেন ইনু। রোববার ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল সেই আবেদনটি খারিজ করে দেন।
ট্রাইব্যুনাল ইনুর আইনজীবীদের ভর্ৎসনা করে বলেন, এ ধরনের মন্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এরপর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ইনুর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং আদালত সোমবার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত ২ নভেম্বর সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় উসকানি ও ষড়যন্ত্রসহ সুনির্দিষ্ট আটটি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে ইনু নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং তার আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। তবে প্রসিকিউশন তখন জানিয়েছিল, ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক নেতা হিসেবে এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী হিসেবে ইনু এই গণহত্যার দায় এড়াতে পারেন না। রোববার রিভিউ শুনানিতে প্রসিকিউশন আবারও দাবি করে, আসামিপক্ষের ‘সো-কল্ড’ শব্দটি ব্যবহার করা আদালতের প্রতি অবজ্ঞা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল, যার পরিপ্রেক্ষিতেই রিভিউ আবেদনটি খারিজ হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। কুষ্টিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। যাচাই-বাছাই শেষে প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে ৩৯ পৃষ্ঠার ফরমাল চার্জ জমা দেয়, যেখানে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং প্রমাণ হিসেবে অডিও-ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ‘সো-কল্ড’ বা তথাকথিত উল্লেখ করাকে ধৃষ্টতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আজকের এই রাষ্ট্র যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত। সেই মহান অর্জনকে তথাকথিত বলা আদালত অবমাননার শামিল।
রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে আইনসম্মতভাবে সমালোচনা বা দ্বিমত করার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া কিংবা রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করার অধিকার কারও নেই। তিনি উল্লেখ করেন, জুলাইয়ের মহান অভ্যুত্থানের পেছনে ১ হাজার ৪০০ মানুষের রক্তদান, ২৫ হাজারের মতো মানুষের অঙ্গহানি এবং অজস্র মানুষের চোখের পানি জড়িয়ে আছে। এমন একটি বিপ্লবকে ‘সো-কল্ড’ বলা ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ধরনের কথা আদালতে বলার অধিকার কোনো আসামির নেই।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল সংবিধানের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এবং বিশেষ আইন দ্বারা সুরক্ষিত। তাই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে দাঁড়িয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ আসামিপক্ষের নেই। তবে আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের সব সুযোগ পাবেন এবং প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য-প্রমাণ চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।
চিফ প্রসিকিউটরের এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর একটি রিভিউ আবেদনকে কেন্দ্র করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে তথাকথিত উল্লেখ করে বিচার শুরুর আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেছিলেন ইনু। রোববার ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল সেই আবেদনটি খারিজ করে দেন।
ট্রাইব্যুনাল ইনুর আইনজীবীদের ভর্ৎসনা করে বলেন, এ ধরনের মন্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এরপর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ইনুর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং আদালত সোমবার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত ২ নভেম্বর সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় উসকানি ও ষড়যন্ত্রসহ সুনির্দিষ্ট আটটি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে ইনু নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং তার আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। তবে প্রসিকিউশন তখন জানিয়েছিল, ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক নেতা হিসেবে এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী হিসেবে ইনু এই গণহত্যার দায় এড়াতে পারেন না। রোববার রিভিউ শুনানিতে প্রসিকিউশন আবারও দাবি করে, আসামিপক্ষের ‘সো-কল্ড’ শব্দটি ব্যবহার করা আদালতের প্রতি অবজ্ঞা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল, যার পরিপ্রেক্ষিতেই রিভিউ আবেদনটি খারিজ হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। কুষ্টিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। যাচাই-বাছাই শেষে প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে ৩৯ পৃষ্ঠার ফরমাল চার্জ জমা দেয়, যেখানে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং প্রমাণ হিসেবে অডিও-ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চোখ খুলেছেন। তিনি সাড়াও দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়াপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালের মধ্যেই উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহে নিখোঁজের প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর ঘর থেকে সাইমা আক্তার সাবা নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পবহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ রেখে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২ ঘণ্টা আগে