leadT1ad

সকালে নিখোঁজ শিশু সাইমা, রাতে প্রতিবেশীর খাটের নিচে মিলল মরদেহ

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
ঝিনাইদহ

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১০
ঝিনাইদহে নিহত শিশু সাইমা আক্তার সাবা। সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহে নিখোঁজের প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর ঘর থেকে সাইমা আক্তার সাবা নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পবহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

সাড়ে ৩ বছর বয়সী সাইমা পবহাটি গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলাম ও ফাতেমা দম্পতির মেয়ে। নিখোঁজের ঘটনায় গতকাল দুপুরে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তাঁরা। মরদেহ উদ্ধারের পর তাদের প্রতিবেশী আক্তারুজ্জামান মাসুদের স্ত্রী সান্ত্বনা খাতুনকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনোজ কুমার ঘোষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয় শিশু সাইমা। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী সান্ত্বনা খাতুনকে বোরকা পরে বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ করে প্রতিবেশীরা। পরে তাঁর ঘরে ঢুকে খাটের নিচে সাইমার মরদেহ দেখে থানায় খবর দেন তাঁরা। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা বর্ণনায় সাইদুল বলেন, ‘আমি প্রতিবেশী মাসুদের বাড়িতে মেয়েকে খুঁজতে গিয়েছিলাম। তখন তাঁর স্ত্রী আমাকে জানায়, সাবা তাদের বাড়িতে যায়নি। তখন পাড়ার সবাই আমার মেয়েকে খুঁজছে, কিন্তু মাসুদের স্ত্রী আসছে না, কোনো খোঁজও করছে না। আমার সন্দেহ হলো। রাতে আবারও পুকুরপাড়ে যাই, সে সময় দেখি মাসুদের স্ত্রী একটি বস্তা নিয়ে কোথায় যাচ্ছে। আমি চিৎকার দিলে সে আবার ঘরে দৌড়ে চলে যায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।’ বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সকালে নিখোঁজের পর আমি থানায় জিডি করলেও পুলিশ কোনো গুরুত্ব দেয়নি।’

অভিযোগ সম্পর্কে সদর থানার পরিদর্শক শামসুজ্জোহা বলেন, ‘নিখোঁজ শিশুটির খোঁজে পুলিশ কাজ করছিল। তবে তার সন্ধান পায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিশুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

ঝিনাইদহ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘ঘটনা কী ঘটেছে, এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। খোঁজখবর নিচ্ছি, তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে।’

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত