ইউক্রেনে আধুনিক যুদ্ধের ধরনে বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে। এখন সেখানে সংঘাত চলছে মূলত দুই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে, যেখানে প্রতিটি পক্ষ রিয়েল টাইমে বা তাৎক্ষণিকভাবে অপর পক্ষকে পরাস্ত করার চেষ্টা করছে। বিশ্বের সমর কৌশলবিদ ও অস্ত্র ক্রেতাদের এ নতুন বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
স্ট্রিম ডেস্ক
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ এখন সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর। হতাহতের ৭০-৮০ শতাংশই ঘটছে চালকবিহীন ড্রোনের হামলায়। সাড়ে তিন বছর পর ইউক্রেন যুদ্ধ এক ধরনের অবিরাম বিড়াল-ইঁদুর খেলায় পরিণত হয়েছে। প্রতিটি নতুন অস্ত্র ব্যবস্থা কেবল দুই থেকে তিন মাসের সুবিধা দেয়। এরপরই প্রতিপক্ষ সেটার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলে। এতেই প্রমাণ হয় যে, রোবটিক যুদ্ধের যুগ এসে গেছে। আমরা ইউক্রেনের আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে এর প্রথম ধাপ দেখতে পাচ্ছি। ইউক্রেনের গ্যারেজ, বেজমেন্ট ও কারখানায় এখন দ্রুততম সামরিক প্রযুক্তি উন্নয়নের কাজ চলছে। শত শত ছোট দল নতুন মডেলের ড্রোন ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করছে।
অনেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন অস্ত্র তৈরি হলেই তা সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে পাঠানো হয়। সৈন্যরা তা পরদিন পরীক্ষা করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা ডেভেলপারদের কাছে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে আবার নতুন চক্র শুরু হয়। কিছু টিম নিজেরাই যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের তৈরি অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পৌঁছে দেয় এবং সৈন্যদের সঙ্গে থেকে কাজ করে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার যুদ্ধও পূর্ণ গতিতে চলছে। অনেক কারখানায় টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে। এর একটি স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় গত ৯ জুলাই। সেদিন রাশিয়া এক দিনে ৭২৮টি শাহেদ ড্রোন নিক্ষেপ করে। মাসের শেষে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজার ২০০টিতে, যা ২০২৪ সালের জুলাইয়ের তুলনায় ১৪ গুণ এবং গত জুনের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি।
এই হুমকি মোকাবেলায় ইউক্রেনের অন্তত দুটি প্রতিরক্ষা কোম্পানি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর প্রতিরোধক ড্রোন তৈরি করেছে। সেগুলো মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে রাশিয়ার শাহেদ ড্রোন চিহ্নিত ও ধ্বংস করতে পারে। একদিনে এদের সর্বোচ্চ সাফল্যের হার ছিল ৬০-৭০ শতাংশ।
কিন্তু যুদ্ধ দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। শাহেদ ড্রোনও আরও উন্নত হচ্ছে। ইউক্রেন যখন বিমান প্রতিরক্ষায় মেশিনগান ব্যবহার শুরু করে, শাহেদ ড্রোন তখন তিন কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতায় উড়ে যায়। যেখানে গুলি পৌঁছাতে পারে না। জুলাইয়ের শেষ দিকে রাশিয়া জেটচালিত শাহেদ ব্যবহার করে। এগুলো ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে, যা অধিকাংশ প্রতিরোধক ড্রোনের চেয়ে দ্রুত।
এ ছাড়া কিছু শাহেদ ড্রোন এখন থার্মাল ক্যামেরা, উন্নত প্রসেসর এবং স্বয়ংক্রিয় ঝাঁক সমন্বয় ব্যবস্থায় সজ্জিত। এরা শিকার হওয়ার আভাস পেলেই দিক পরিবর্তন করে পালাতে পারে। এভাবেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রোবট বনাম রোবট যুদ্ধ চলছে। রিয়েলটাইমে দুই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা একে অপরের সঙ্গে ছলনা করার চেষ্টা করছে।
স্থলযুদ্ধেও একই ধরনের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। অপটিক্যাল কেবল সংযোগযুক্ত এফপিভি (ফার্স্ট পারসন ভিউ) ড্রোন এখন ৩০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এদের সিগনাল জ্যাম করা যায় না। ফলে সেই এলাকায় যেকোনো চলাচল খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দুই পক্ষই “স্লিপিং ড্রোন” ব্যবহার শুরু করেছে, যেগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাটিতে অপেক্ষা করতে পারে এবং লক্ষ্য দেখা দিলেই হামলা চালায়।
এ কারণে এখন ব্যাপকভাবে মানববিহীন স্থলযান ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো মূলত সরবরাহ, উদ্ধারকাজ, মাইন পুতে রাখা, কিংবা আক্রমণে ব্যবহৃত হচ্ছে। আপাতত এই ক্ষেত্রে ইউক্রেন এগিয়ে আছে। জুলাইয়ে তাদের তৃতীয় অ্যাসল্ট ব্রিগেড খারকিভে একটি ঐতিহাসিক অভিযান চালায়। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ওই অভিযানে এফপিভি ড্রোন ও স্থল রোবট ব্যবহার করা হয়। এতে রুশ সেনারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় এবং কোনো ইউক্রেনীয় সেনাকে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে হয়নি।
ইউক্রেনের অন্যতম বড় সাফল্য হলো সমুদ্র ড্রোন ব্যবহার করে রুশ যুদ্ধজাহাজগুলোকে কৃষ্ণসাগর থেকে সরিয়ে দেওয়া। সময়ের সঙ্গে এসব ড্রোন উন্নত হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর একটি ইউক্রেনীয় মাগুরা ভি৫ সমুদ্র ড্রোন আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে কৃষ্ণসাগরে একটি রুশ এমআই-৮ হেলিকপ্টার ধ্বংস করে। এর আগে কোনো মানববিহীন ড্রোন কখনো মানব চালিত উড়োজাহাজ ভূপাতিত করতে পারেনি। বর্তমানে কিছু সমুদ্র ড্রোন ছোট ড্রোনের উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম বা যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে তাদের সক্ষমতা ও পরিসর আরও বেড়েছে।
এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এসব থেকে প্রমাণ হয় যে যুদ্ধের এক নতুন যুগ শুরু হয়েছে। এই যুগে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা হবে যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ইউক্রেনের শীর্ষ ড্রোন ইউনিটগুলো উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মতো পরিচালিত হয়। তাদের রয়েছে নিজস্ব নিয়োগ ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন এবং দলগত সংস্কৃতি। একটি উন্নত ব্রিগেডে ৭০ জনেরও বেশি তথ্য বিশ্লেষক দিনরাত গোয়েন্দা তথ্য পর্যবেক্ষণ করেন। এসব ইউনিট দ্রুত শিক্ষা গ্রহণ ও অভিযোজনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী সেনাদলের চেয়ে অনেক দ্রুত যুদ্ধক্ষেত্রের পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে সফল নতুন খেলোয়াড় হলো গুগলের সাবেক প্রধান নির্বাহী এরিক শ্মিটের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান সুইফট বিট। প্রতিষ্ঠানটি এ বছর কয়েক লাখ ড্রোন সরবরাহের পরিকল্পনা করছে। তারা সবচেয়ে কার্যকর শাহেদ প্রতিরোধক ড্রোন তৈরি করেছে। এছাড়া ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর নতুন প্রযুক্তিও তৈরি করছে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, এসব নতুন প্রযুক্তির বড় অংশই তৈরি হচ্ছে হাজারো স্বেচ্ছাসেবক ও নাগরিক সমাজের উদ্যোগে। বড় প্রতিরক্ষা ঠিকাদারদের মাধ্যমে নয়।
এই উদ্ভাবনী শক্তিই ইউক্রেনকে এতদিন ধরে রাশিয়ার মতো একটি সামরিক পরাশক্তিকে প্রতিরোধের সক্ষমতা দিয়েছে। ন্যাটো ও তার মিত্রদের এখন জরুরি ভিত্তিতে ইউক্রেনকে সহায়তা বাড়াতে হবে। কারণ রোবোটিক যুদ্ধের যুগ শুরু হয়ে গেছে, আর এর ব্যবহারবিধি এখন লিখছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ এখন সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর। হতাহতের ৭০-৮০ শতাংশই ঘটছে চালকবিহীন ড্রোনের হামলায়। সাড়ে তিন বছর পর ইউক্রেন যুদ্ধ এক ধরনের অবিরাম বিড়াল-ইঁদুর খেলায় পরিণত হয়েছে। প্রতিটি নতুন অস্ত্র ব্যবস্থা কেবল দুই থেকে তিন মাসের সুবিধা দেয়। এরপরই প্রতিপক্ষ সেটার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলে। এতেই প্রমাণ হয় যে, রোবটিক যুদ্ধের যুগ এসে গেছে। আমরা ইউক্রেনের আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে এর প্রথম ধাপ দেখতে পাচ্ছি। ইউক্রেনের গ্যারেজ, বেজমেন্ট ও কারখানায় এখন দ্রুততম সামরিক প্রযুক্তি উন্নয়নের কাজ চলছে। শত শত ছোট দল নতুন মডেলের ড্রোন ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করছে।
অনেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন অস্ত্র তৈরি হলেই তা সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে পাঠানো হয়। সৈন্যরা তা পরদিন পরীক্ষা করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা ডেভেলপারদের কাছে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে আবার নতুন চক্র শুরু হয়। কিছু টিম নিজেরাই যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের তৈরি অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পৌঁছে দেয় এবং সৈন্যদের সঙ্গে থেকে কাজ করে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার যুদ্ধও পূর্ণ গতিতে চলছে। অনেক কারখানায় টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে। এর একটি স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় গত ৯ জুলাই। সেদিন রাশিয়া এক দিনে ৭২৮টি শাহেদ ড্রোন নিক্ষেপ করে। মাসের শেষে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজার ২০০টিতে, যা ২০২৪ সালের জুলাইয়ের তুলনায় ১৪ গুণ এবং গত জুনের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি।
এই হুমকি মোকাবেলায় ইউক্রেনের অন্তত দুটি প্রতিরক্ষা কোম্পানি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর প্রতিরোধক ড্রোন তৈরি করেছে। সেগুলো মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে রাশিয়ার শাহেদ ড্রোন চিহ্নিত ও ধ্বংস করতে পারে। একদিনে এদের সর্বোচ্চ সাফল্যের হার ছিল ৬০-৭০ শতাংশ।
কিন্তু যুদ্ধ দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। শাহেদ ড্রোনও আরও উন্নত হচ্ছে। ইউক্রেন যখন বিমান প্রতিরক্ষায় মেশিনগান ব্যবহার শুরু করে, শাহেদ ড্রোন তখন তিন কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতায় উড়ে যায়। যেখানে গুলি পৌঁছাতে পারে না। জুলাইয়ের শেষ দিকে রাশিয়া জেটচালিত শাহেদ ব্যবহার করে। এগুলো ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে, যা অধিকাংশ প্রতিরোধক ড্রোনের চেয়ে দ্রুত।
এ ছাড়া কিছু শাহেদ ড্রোন এখন থার্মাল ক্যামেরা, উন্নত প্রসেসর এবং স্বয়ংক্রিয় ঝাঁক সমন্বয় ব্যবস্থায় সজ্জিত। এরা শিকার হওয়ার আভাস পেলেই দিক পরিবর্তন করে পালাতে পারে। এভাবেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রোবট বনাম রোবট যুদ্ধ চলছে। রিয়েলটাইমে দুই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা একে অপরের সঙ্গে ছলনা করার চেষ্টা করছে।
স্থলযুদ্ধেও একই ধরনের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। অপটিক্যাল কেবল সংযোগযুক্ত এফপিভি (ফার্স্ট পারসন ভিউ) ড্রোন এখন ৩০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এদের সিগনাল জ্যাম করা যায় না। ফলে সেই এলাকায় যেকোনো চলাচল খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দুই পক্ষই “স্লিপিং ড্রোন” ব্যবহার শুরু করেছে, যেগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাটিতে অপেক্ষা করতে পারে এবং লক্ষ্য দেখা দিলেই হামলা চালায়।
এ কারণে এখন ব্যাপকভাবে মানববিহীন স্থলযান ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো মূলত সরবরাহ, উদ্ধারকাজ, মাইন পুতে রাখা, কিংবা আক্রমণে ব্যবহৃত হচ্ছে। আপাতত এই ক্ষেত্রে ইউক্রেন এগিয়ে আছে। জুলাইয়ে তাদের তৃতীয় অ্যাসল্ট ব্রিগেড খারকিভে একটি ঐতিহাসিক অভিযান চালায়। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ওই অভিযানে এফপিভি ড্রোন ও স্থল রোবট ব্যবহার করা হয়। এতে রুশ সেনারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় এবং কোনো ইউক্রেনীয় সেনাকে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে হয়নি।
ইউক্রেনের অন্যতম বড় সাফল্য হলো সমুদ্র ড্রোন ব্যবহার করে রুশ যুদ্ধজাহাজগুলোকে কৃষ্ণসাগর থেকে সরিয়ে দেওয়া। সময়ের সঙ্গে এসব ড্রোন উন্নত হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর একটি ইউক্রেনীয় মাগুরা ভি৫ সমুদ্র ড্রোন আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে কৃষ্ণসাগরে একটি রুশ এমআই-৮ হেলিকপ্টার ধ্বংস করে। এর আগে কোনো মানববিহীন ড্রোন কখনো মানব চালিত উড়োজাহাজ ভূপাতিত করতে পারেনি। বর্তমানে কিছু সমুদ্র ড্রোন ছোট ড্রোনের উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম বা যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে তাদের সক্ষমতা ও পরিসর আরও বেড়েছে।
এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এসব থেকে প্রমাণ হয় যে যুদ্ধের এক নতুন যুগ শুরু হয়েছে। এই যুগে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা হবে যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ইউক্রেনের শীর্ষ ড্রোন ইউনিটগুলো উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মতো পরিচালিত হয়। তাদের রয়েছে নিজস্ব নিয়োগ ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন এবং দলগত সংস্কৃতি। একটি উন্নত ব্রিগেডে ৭০ জনেরও বেশি তথ্য বিশ্লেষক দিনরাত গোয়েন্দা তথ্য পর্যবেক্ষণ করেন। এসব ইউনিট দ্রুত শিক্ষা গ্রহণ ও অভিযোজনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী সেনাদলের চেয়ে অনেক দ্রুত যুদ্ধক্ষেত্রের পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে সফল নতুন খেলোয়াড় হলো গুগলের সাবেক প্রধান নির্বাহী এরিক শ্মিটের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান সুইফট বিট। প্রতিষ্ঠানটি এ বছর কয়েক লাখ ড্রোন সরবরাহের পরিকল্পনা করছে। তারা সবচেয়ে কার্যকর শাহেদ প্রতিরোধক ড্রোন তৈরি করেছে। এছাড়া ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর নতুন প্রযুক্তিও তৈরি করছে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, এসব নতুন প্রযুক্তির বড় অংশই তৈরি হচ্ছে হাজারো স্বেচ্ছাসেবক ও নাগরিক সমাজের উদ্যোগে। বড় প্রতিরক্ষা ঠিকাদারদের মাধ্যমে নয়।
এই উদ্ভাবনী শক্তিই ইউক্রেনকে এতদিন ধরে রাশিয়ার মতো একটি সামরিক পরাশক্তিকে প্রতিরোধের সক্ষমতা দিয়েছে। ন্যাটো ও তার মিত্রদের এখন জরুরি ভিত্তিতে ইউক্রেনকে সহায়তা বাড়াতে হবে। কারণ রোবোটিক যুদ্ধের যুগ শুরু হয়ে গেছে, আর এর ব্যবহারবিধি এখন লিখছে ইউক্রেন।
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স’ কার্যকর রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে।
১ ঘণ্টা আগেসাত মাস ব্যথার চিকিৎসা করতে গিয়ে ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এই ঘটনায় ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিনের পুরোনো দ্বন্দ্ব—ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বনাম বিএসসি গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার—আবার নতুন করে উত্তপ্ত রূপ নিয়েছে। প্রমোশন, পদমর্যাদা ও ‘প্রকৌশলী’ উপাধি ব্যবহারের প্রশ্নে দুই পক্ষের বিরোধ এখন দেশজুড়ে আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ একে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। আবার কেউ বলছেন, সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আগে এ রোডম্যাপ ‘পুরোনো বন্দোবস্তের পুনরাবৃত্তি’।
৩ ঘণ্টা আগে