leadT1ad

মতামত যেখান থেকে তৈরি হয়, সেটাকে অবশ্যই প্রশ্ন করা উচিত: মাহফুজ আলম

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫, ০০: ০৭

‘সাংসদদের প্রশ্ন করা যাবে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা যাবে, গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন করা যাবে, কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা যাবে না। আমি চাই না, এই জিনিসটা থাকুক।’ রোববার (৪ মে) এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ‘ব্রেভ নিউ বাংলাদেশ: রিফর্ম রোডম্যাপ ফর প্রেস ফ্রিডম’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজিত হয়। রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে যৌথভাবে এই সেমিনার আয়োজন করে ইউনেসকো ঢাকা অফিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সুইডেন দূতাবাস।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের যারা নীতিনির্ধারক আছেন, যেখান থেকে তাদের নিউজ বা মতামত তৈরি হয়, সেটাকে অবশ্যই প্রশ্ন করার সুযোগ থাকা উচিত।’

বিগত সরকারের ১৫ বছরে গণমাধ্যমগুলোর কার্যকলাপ নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরির কথাও তিনি এ সময় বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। সাংবাদিকদের কাজের বৈরী পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য বিদ্যমান বৈরী পরিবেশের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। সাংবাদিকদের ওপর মৌখিক ও শারীরিক হামলা এখনো হচ্ছে। অনেকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ কারাবন্দী হয়েছেন, তবে তা তাঁদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য। তাঁরা একই সঙ্গে সাংবাদিক, আবার রাজনৈতিক কর্মী।’

তিনি আরও দাবি করেন, গণমাধ্যম সেলফ-সেন্সরশিপ করছে ও এর পেছনে মব ভায়োলেন্স দায়ী। অথচ সরকার এটি নিয়ন্ত্রণ করছে না।

সম্প্রতি সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে তিনজন সাংবাদিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এরপর ওই তিনজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ ঘটনায় তাঁদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এ প্রসঙ্গ টেনে কামাল আহমেদ বলেন ‘কোনো আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই এ ধরনের চাকরিচ্যুতিকে অনেকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্য এটি কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ ছিল কি না।’

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন এএফপির ব্যুরো চিফ শেখ সাবিহা আলম, বিজেসির চেয়ারম্যান রেজয়ানুল হক রাজা এবং টাইমস মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। 

Ad 300x250

‘মানুষকে চিকিৎসা নিতে পাশের দেশে পাঠাতেই স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছিল’

বৈষম্য নিরসনের কর্মসূচি ছাড়া রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর কি সম্ভব

প্রথম থেকেই আমি ‘মাস্টারমাইন্ড’ শব্দটা ডিজ-ওউন করেছি

মধ্যরাতের আগুন নিভল সকালে, পুড়ল কারখানাসহ ১১টি দোকান

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা

সম্পর্কিত