স্ট্রিম ডেস্ক
সজিব তুষার ও তৌহিদুল ইসলাম
বায়ুদূষণ সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে আয়োজন করা হয় ‘ব্রিদ ইজি, ঢাকা’ ম্যুরাল পেইন্টিং উৎসব। আজ বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর খিলগাঁও গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন নতুন করে আলোচনায় এনেছে রাজধানীর বায়ুদূষণ পরিস্থিতি ও তা থেকে উত্তরণের সম্ভাবনা।
উৎসবের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের (অন্তর্বর্তী) কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন। উদ্বোধনের পর শিক্ষার্থীরা রঙ-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলে তাদের পরিবেশবিষয়ক চিন্তা ও চেতনা।
ম্যুরাল চিত্রে উঠে আসে বিশুদ্ধ বাতাস, সবুজ প্রকৃতি ও দূষণমুক্ত পরিবেশের আকাঙ্ক্ষা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নেয় শিল্পকলাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘কার্টুন পিপল’। আয়োজনের শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও শিল্পীদের হাতে সনদ তুলে দেন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা ও শিক্ষকরা।
‘বিশ্ব বায়ু মান প্রতিবেদন ২০২৪’ অনুযায়ী, বাংলাদেশ বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত দেশ। ঢাকার বাতাসে পিএম ২ দশমিক ৫ এবং কণার পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৭৮ মাইক্রোগ্রাম, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি। শহর হিসেবে দূষণে ঢাকার অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। ঢাকার ওপরে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং শীর্ষে ভারতের দিল্লি।
স্মার্ট এয়ার ফিল্টারসের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপের সবচেয়ে দূষিত শহর ক্রোয়েশিয়ার স্লাভোনস্কি ব্রডে পিএম ২ দশমিক ৫ এর পরিমাণ ২৬ দশমিক ৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার। আর সুইডেনের উপসালায় মাত্র ৪ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার। তুলনায় ঢাকার বায়ুদূষণ ইউরোপের সবচেয়ে দূষিত শহরের চেয়েও প্রায় তিনগুণ বেশি।
বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ২০১৯ সালের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে ঢাকার বায়ুদূষণের তিন প্রধান উৎস:
নির্মাণকাজের ধুলাবালি (৩০ শতাংশ), ইটভাটা (২৯ শতাংশ), পুরনো যানবাহনের ধোঁয়া (১৫ শতাংশ)।
বর্তমানে দেশে সক্রিয় ৭ হাজার ৮৬টি ইটভাটার মধ্যে ৪ হাজার ৫০৫টির কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসব ইটভাটায় প্রতিবছর ব্যবহৃত হয় প্রায় ১৩ কোটি মেট্রিক টন মাটি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেপরোয়া নির্মাণকাজ ও অযোগ্য যানবাহনের ধোঁয়া—যা মিলে ঢাকার বাতাসকে করে তুলেছে বিষাক্ত।
বিশ্বব্যাংকের হিসেবে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১১ দশমিক ৫ থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদনশীল সময়।
স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার (এসওজিএ) ২০২৪-এর তথ্যানুসারে, দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর হারিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা।
স্বাস্থ্যের দিক থেকেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ২০২১ সালেই বায়ুদূষণের কারণে দেশে অকালমৃত্যু ঘটেছে ২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের। শিশুদের মধ্যে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও কম ওজন নিয়ে জন্মের ঝুঁকি।
এই সংকট শুধু বাংলাদেশের একার নয়, বরং একটি আঞ্চলিক সংকট। ভারতের দিল্লি বা পাঞ্জাব অঞ্চলের দূষণও প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশের বায়ু মানে।
তবে আশার আলোও আছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে ঢাকায় গ্রীন স্পেস চিহ্নিতকরণ এবং দূষণকারী ইটভাটা শনাক্ত করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিবেশবিদদের মতে, সরকার, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘ব্রিদ ইজি, ঢাকা’ কেবল একটি দেয়ালচিত্র নয়, বরং এটি একটি প্রতীক—একটি বার্তা, যা বলে, এখনই সময় জেগে ওঠার, সচেতন হওয়ার।
সজিব তুষার ও তৌহিদুল ইসলাম
বায়ুদূষণ সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে আয়োজন করা হয় ‘ব্রিদ ইজি, ঢাকা’ ম্যুরাল পেইন্টিং উৎসব। আজ বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর খিলগাঁও গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন নতুন করে আলোচনায় এনেছে রাজধানীর বায়ুদূষণ পরিস্থিতি ও তা থেকে উত্তরণের সম্ভাবনা।
উৎসবের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের (অন্তর্বর্তী) কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন। উদ্বোধনের পর শিক্ষার্থীরা রঙ-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলে তাদের পরিবেশবিষয়ক চিন্তা ও চেতনা।
ম্যুরাল চিত্রে উঠে আসে বিশুদ্ধ বাতাস, সবুজ প্রকৃতি ও দূষণমুক্ত পরিবেশের আকাঙ্ক্ষা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নেয় শিল্পকলাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘কার্টুন পিপল’। আয়োজনের শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও শিল্পীদের হাতে সনদ তুলে দেন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা ও শিক্ষকরা।
‘বিশ্ব বায়ু মান প্রতিবেদন ২০২৪’ অনুযায়ী, বাংলাদেশ বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত দেশ। ঢাকার বাতাসে পিএম ২ দশমিক ৫ এবং কণার পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৭৮ মাইক্রোগ্রাম, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি। শহর হিসেবে দূষণে ঢাকার অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। ঢাকার ওপরে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং শীর্ষে ভারতের দিল্লি।
স্মার্ট এয়ার ফিল্টারসের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপের সবচেয়ে দূষিত শহর ক্রোয়েশিয়ার স্লাভোনস্কি ব্রডে পিএম ২ দশমিক ৫ এর পরিমাণ ২৬ দশমিক ৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার। আর সুইডেনের উপসালায় মাত্র ৪ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার। তুলনায় ঢাকার বায়ুদূষণ ইউরোপের সবচেয়ে দূষিত শহরের চেয়েও প্রায় তিনগুণ বেশি।
বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ২০১৯ সালের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে ঢাকার বায়ুদূষণের তিন প্রধান উৎস:
নির্মাণকাজের ধুলাবালি (৩০ শতাংশ), ইটভাটা (২৯ শতাংশ), পুরনো যানবাহনের ধোঁয়া (১৫ শতাংশ)।
বর্তমানে দেশে সক্রিয় ৭ হাজার ৮৬টি ইটভাটার মধ্যে ৪ হাজার ৫০৫টির কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসব ইটভাটায় প্রতিবছর ব্যবহৃত হয় প্রায় ১৩ কোটি মেট্রিক টন মাটি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেপরোয়া নির্মাণকাজ ও অযোগ্য যানবাহনের ধোঁয়া—যা মিলে ঢাকার বাতাসকে করে তুলেছে বিষাক্ত।
বিশ্বব্যাংকের হিসেবে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১১ দশমিক ৫ থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদনশীল সময়।
স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার (এসওজিএ) ২০২৪-এর তথ্যানুসারে, দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর হারিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা।
স্বাস্থ্যের দিক থেকেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ২০২১ সালেই বায়ুদূষণের কারণে দেশে অকালমৃত্যু ঘটেছে ২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের। শিশুদের মধ্যে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও কম ওজন নিয়ে জন্মের ঝুঁকি।
এই সংকট শুধু বাংলাদেশের একার নয়, বরং একটি আঞ্চলিক সংকট। ভারতের দিল্লি বা পাঞ্জাব অঞ্চলের দূষণও প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশের বায়ু মানে।
তবে আশার আলোও আছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে ঢাকায় গ্রীন স্পেস চিহ্নিতকরণ এবং দূষণকারী ইটভাটা শনাক্ত করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিবেশবিদদের মতে, সরকার, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘ব্রিদ ইজি, ঢাকা’ কেবল একটি দেয়ালচিত্র নয়, বরং এটি একটি প্রতীক—একটি বার্তা, যা বলে, এখনই সময় জেগে ওঠার, সচেতন হওয়ার।
সাধারণত কোনো দেশের বাজেট প্রস্তাব হয়ে থাকে দেশটির সংসদেই। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো সংসদ ব্যবস্থা কার্যকর না থাকায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নতুন বাজেট উপস্থাপিত হচ্ছে ভিন্ন প্রক্রিয়ায়। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার (২ জুন) বেলা ৩টায় উপস্থাপন করেছেন২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। এই বাজেট
০৬ জুন ২০২৫প্রায় পাঁচ বছর আগে ঘটে যাওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের মামলায় অবশেষে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন দেশের উচ্চ আদালত। বহুল আলোচিত এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক
০৬ জুন ২০২৫সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় জামায়েতে ইসলামকে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে দিয়েছে। ফলে জামায়াতের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক-দাঁড়িপাল্লা পুনর্বহাল হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ।
০৬ জুন ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ সোমবার (২ জুন) বিকেল ৪টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হচ্ছে। কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই বৈঠকে , জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ৩১টি দল ও জোটকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
০৬ জুন ২০২৫