leadT1ad

সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৫, ১২: ৫২
আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, ১১: ৪১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে দীর্ঘদিনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই ঘোষণা ঘিরে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে জনতার মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। মানুষ রাস্তায় নেমে নাচ-গান, আতশবাজি ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে আনন্দ উদ্‌যাপন করেছে। খবরটি সিএনএন প্রকাশ করেছে।

বুধবার (১৪ মে) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা’র সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাম্প বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্কের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ায় ত্রাণ সহায়তা ও বৈদেশিক আর্থিক লেনদেন কার্যত বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার নীতি পরিবর্তনের ফলে সিরিয়ায় একটি ‘বিশাল সুযোগ’ তৈরি হয়েছে।

রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এখন সময় এসেছে সিরিয়ার উঠে দাঁড়ানোর। এই সিদ্ধান্ত দেশটিকে স্থিতিশীল ও আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে।’ সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল শাইবানি বলেন, এই সিদ্ধান্ত সিরিয়ার পুনর্গঠনের পথে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

তিনি আরও জানান, বছরের পর বছর যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ কাটিয়ে উঠতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সিরিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হবে।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার ৯০ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আন্তর্জাতিক মহলে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

গত বছর এক সাক্ষাৎকারে আহমেদ আল শারা বলেন, ‘বর্তমানে সিরিয়া কারও জন্য হুমকি নয়। অতীতের শাসকগোষ্ঠী দায়ী ছিল অপরাধের জন্য। নতুন সরকার মানবাধিকার ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত