স্ট্রিম প্রতিবেদক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপ পর্বে অংশ নিয়ে নারী প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি বলেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো যেন সংরক্ষিত ৫০ আসনের বাইরে ৩০০টি সাধারণ আসনের অন্তত ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেয়।
আজ রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯তম দিনের আলোচনায় এই প্রস্তাব তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছুসংখ্যক আসনে নারীরা যাতে সরাসরি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সংসদে আসতে পারেন, সেই সুযোগ রাখার দিকেই আমরা এগোচ্ছি। এটি সময়ের দাবি।’
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, প্রাথমিকভাবে বিএনপি ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বাড়িয়ে ৮০-তে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখন তারা চাইছেন—প্রতিটি রাজনৈতিক দল সরাসরি নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী দিক।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যেহেতু সংবিধান সংশোধনের সুযোগ এখন নেই, তাই এটি আপাতত জেন্টলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্ট হিসেবেই থাকতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধন করে ৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশে নারী প্রার্থিতা নিশ্চিত করা উচিত। এতে সরাসরি নির্বাচিত ৩০ জন নারী এবং সংরক্ষিত ৫০ জন মিলে ৮০টি আসনে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশ পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়টি। সালাহউদ্দিন জানান, এই কমিশনের উদ্দেশ্য হবে পুলিশকে আরও দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও আইনের প্রতি অনুগত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কমিশনের গঠন, দায়িত্ব ও তদন্তপদ্ধতি সবকিছু সংসদে পাস হওয়া আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। তবে কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবনাগুলোকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছি।’
জনগণের অভিযোগ জানানোর স্বাধীনতা, প্রয়োজন হলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা এবং বিভাগীয় তদন্তের বাইরে বিকল্প প্রতিকারমূলক পথ তৈরির কথাও আলোচনায় উঠে এসেছে।
বিএনপি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮-এর বর্তমান রূপ—যা পঞ্চদশ সংশোধনীর ভিত্তিতে গৃহীত—তার সঙ্গে একমত নয় বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিএনপির দাবি, পঞ্চম সংশোধনীর সময়কার মূলনীতিই রাখা উচিত। তবে আলোচনায় নতুন একটি সংযোজন প্রস্তাব নিয়ে এসেছে কমিশন। সেটি হলো– সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি। বিএনপি জানিয়েছে, এ সংযোজন নিয়ে তাদের আপত্তি নেই।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, এক ব্যক্তি যেন সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন। আজকের আলোচনায় কমিশনও এই প্রস্তাবে একমত হয়েছে। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এতে দেশে ব্যক্তি-নির্ভর শাসনব্যবস্থার সুযোগ কমবে এবং গণতন্ত্রের শেকড় আরও গভীর হবে।’
বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সংবিধানসম্মত একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে সরকার, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের একজন সদস্য থাকবেন। প্রার্থীদের নাম বাছাইয়ে থাকবে আলাদা সার্চ কমিটি, যেখানে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সাধারণ নাগরিকেরা প্রস্তাব দিতে পারবেন।
আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপ পর্বে অংশ নিয়ে নারী প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি বলেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো যেন সংরক্ষিত ৫০ আসনের বাইরে ৩০০টি সাধারণ আসনের অন্তত ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেয়।
আজ রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯তম দিনের আলোচনায় এই প্রস্তাব তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছুসংখ্যক আসনে নারীরা যাতে সরাসরি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সংসদে আসতে পারেন, সেই সুযোগ রাখার দিকেই আমরা এগোচ্ছি। এটি সময়ের দাবি।’
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, প্রাথমিকভাবে বিএনপি ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বাড়িয়ে ৮০-তে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখন তারা চাইছেন—প্রতিটি রাজনৈতিক দল সরাসরি নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী দিক।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যেহেতু সংবিধান সংশোধনের সুযোগ এখন নেই, তাই এটি আপাতত জেন্টলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্ট হিসেবেই থাকতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধন করে ৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশে নারী প্রার্থিতা নিশ্চিত করা উচিত। এতে সরাসরি নির্বাচিত ৩০ জন নারী এবং সংরক্ষিত ৫০ জন মিলে ৮০টি আসনে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশ পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়টি। সালাহউদ্দিন জানান, এই কমিশনের উদ্দেশ্য হবে পুলিশকে আরও দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও আইনের প্রতি অনুগত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কমিশনের গঠন, দায়িত্ব ও তদন্তপদ্ধতি সবকিছু সংসদে পাস হওয়া আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। তবে কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবনাগুলোকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছি।’
জনগণের অভিযোগ জানানোর স্বাধীনতা, প্রয়োজন হলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা এবং বিভাগীয় তদন্তের বাইরে বিকল্প প্রতিকারমূলক পথ তৈরির কথাও আলোচনায় উঠে এসেছে।
বিএনপি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮-এর বর্তমান রূপ—যা পঞ্চদশ সংশোধনীর ভিত্তিতে গৃহীত—তার সঙ্গে একমত নয় বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিএনপির দাবি, পঞ্চম সংশোধনীর সময়কার মূলনীতিই রাখা উচিত। তবে আলোচনায় নতুন একটি সংযোজন প্রস্তাব নিয়ে এসেছে কমিশন। সেটি হলো– সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি। বিএনপি জানিয়েছে, এ সংযোজন নিয়ে তাদের আপত্তি নেই।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, এক ব্যক্তি যেন সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন। আজকের আলোচনায় কমিশনও এই প্রস্তাবে একমত হয়েছে। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এতে দেশে ব্যক্তি-নির্ভর শাসনব্যবস্থার সুযোগ কমবে এবং গণতন্ত্রের শেকড় আরও গভীর হবে।’
বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সংবিধানসম্মত একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে সরকার, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের একজন সদস্য থাকবেন। প্রার্থীদের নাম বাছাইয়ে থাকবে আলাদা সার্চ কমিটি, যেখানে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সাধারণ নাগরিকেরা প্রস্তাব দিতে পারবেন।
আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে পিআর পদ্ধতি আলোচনায় রয়েছে। একাধিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছে। তবে পিআর পদ্ধতির প্রয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যে কিছু পার্থক্যও রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। এর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিলম্বে নির্বাচন হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে—এই অজুহাতে কোনো ‘প্রিম্যাচিউরড ডেলিভারি’ চান না তাঁরা।
৪ দিন আগেতিনি লেখেন, প্রাণহানির শিকার নিরীহ ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারগুলোর পাশে আমাদের হৃদয়ের সকল অনুভূতি। বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং প্রতিটি সঙ্কটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
৫ দিন আগেসর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের উদ্ধার কাজে সহায়তা, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সহযোগিতা এবং সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম৷
৬ দিন আগে