‘নতুন বাংলাদেশ’-এর ডাক জামায়াতে ইসলামীর
স্ট্রিম প্রতিবেদক
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল শুক্রবার (৪ জুলাই) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে এই ঘোষণা দেন দলটির শীর্ষ নেতারা। সমাবেশে মনোনীত ৩৩ প্রার্থীকে জনসম্মুখে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। যাঁরা বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলার ৩৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে নীলফামারী-২ আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এর আগে শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘মৌলিক সংস্কার ছাড়া এই দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে মব কালচার চলছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তবে জামায়াত সব সময় এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনা প্রমাণ করে যে দেশের নির্বাচনী পরিবেশ এখনো সহিংসতামুক্ত নয়। আমরা নির্বাচন চাই, তবে তার আগে পরিবেশ চাই। এ জন্য প্রয়োজন মৌলিক সংস্কার।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এরপর সহিংসতা রোধে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলেই একটি স্থিতিশীল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব হবে।’
নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামী চার দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে’ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ব্যবস্থা।
ঘোষিত প্রার্থীদের তালিকা অনুযায়ী রংপুর জেলার ছয়টি আসনে জামায়াত ইসলামী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে অধ্যাপক রায়হান সিরাজী (রংপুর-১), এ টি এম আজহারুল ইসলাম (রংপুর-২), অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল (রংপুর-৩), মাওলানা উপাধ্যক্ষ এ টি এম আজম খান (রংপুর-৪), গোলাম রাব্বানী (রংপুর-৫) ও মাওলানা নূরুল আমিন (রংপুর-৬)।
দিনাজপুর জেলার ছয়টি আসনে প্রার্থী হয়েছেন মতিউর রহমান (দিনাজপুর-১), অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন আনাম (দিনাজপুর-২), অ্যাডভোকেট মনিরুল আলম (দিনাজপুর-৩), আবতাব উদ্দিন মোল্লা (দিনাজপুর-৪), আনোয়ার হোসেন (দিনাজপুর-৫) ও আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬)।
নীলফামারী জেলার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন—অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর সাত্তার (নীলফামারী-১), ওবাইদুল্লাহ সালাফি (নীলফামারী-৩) ও মাওলানা হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম (নীলফামারী-৪)। নীলফামারী-২ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা হয়নি।
লালমনিরহাট জেলার তিনটি আসনে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আনোয়ারুল ইসলাম (লালমনিরহাট-১), অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু (লালমনিরহাট-২) ও হারুনুর রশিদ (লালমনিরহাট-৩)।
কুড়িগ্রাম জেলার চারটি আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম-১), অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী (কুড়িগ্রাম-২), ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী (কুড়িগ্রাম-৩) ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (কুড়িগ্রাম-৪)।
গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক মাজেদুর রহমান (গাইবান্ধা-১), আব্দুল করীম (গাইবান্ধা-২), অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম (গাইবান্ধা-৩), ডা. আব্দুর রহিম সরকার (গাইবান্ধা-৪) ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওরেস (গাইবান্ধা-৫)।
ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি আসনে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দেলোয়ার হোসেন (ঠাকুরগাঁও-১), আব্দুল হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২) ও মিজানুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩)।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল শুক্রবার (৪ জুলাই) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে এই ঘোষণা দেন দলটির শীর্ষ নেতারা। সমাবেশে মনোনীত ৩৩ প্রার্থীকে জনসম্মুখে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। যাঁরা বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলার ৩৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে নীলফামারী-২ আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এর আগে শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘মৌলিক সংস্কার ছাড়া এই দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে মব কালচার চলছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তবে জামায়াত সব সময় এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনা প্রমাণ করে যে দেশের নির্বাচনী পরিবেশ এখনো সহিংসতামুক্ত নয়। আমরা নির্বাচন চাই, তবে তার আগে পরিবেশ চাই। এ জন্য প্রয়োজন মৌলিক সংস্কার।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এরপর সহিংসতা রোধে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলেই একটি স্থিতিশীল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব হবে।’
নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামী চার দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে’ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ব্যবস্থা।
ঘোষিত প্রার্থীদের তালিকা অনুযায়ী রংপুর জেলার ছয়টি আসনে জামায়াত ইসলামী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে অধ্যাপক রায়হান সিরাজী (রংপুর-১), এ টি এম আজহারুল ইসলাম (রংপুর-২), অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল (রংপুর-৩), মাওলানা উপাধ্যক্ষ এ টি এম আজম খান (রংপুর-৪), গোলাম রাব্বানী (রংপুর-৫) ও মাওলানা নূরুল আমিন (রংপুর-৬)।
দিনাজপুর জেলার ছয়টি আসনে প্রার্থী হয়েছেন মতিউর রহমান (দিনাজপুর-১), অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন আনাম (দিনাজপুর-২), অ্যাডভোকেট মনিরুল আলম (দিনাজপুর-৩), আবতাব উদ্দিন মোল্লা (দিনাজপুর-৪), আনোয়ার হোসেন (দিনাজপুর-৫) ও আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬)।
নীলফামারী জেলার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন—অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর সাত্তার (নীলফামারী-১), ওবাইদুল্লাহ সালাফি (নীলফামারী-৩) ও মাওলানা হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম (নীলফামারী-৪)। নীলফামারী-২ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা হয়নি।
লালমনিরহাট জেলার তিনটি আসনে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আনোয়ারুল ইসলাম (লালমনিরহাট-১), অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু (লালমনিরহাট-২) ও হারুনুর রশিদ (লালমনিরহাট-৩)।
কুড়িগ্রাম জেলার চারটি আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম-১), অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী (কুড়িগ্রাম-২), ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী (কুড়িগ্রাম-৩) ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (কুড়িগ্রাম-৪)।
গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক মাজেদুর রহমান (গাইবান্ধা-১), আব্দুল করীম (গাইবান্ধা-২), অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম (গাইবান্ধা-৩), ডা. আব্দুর রহিম সরকার (গাইবান্ধা-৪) ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওরেস (গাইবান্ধা-৫)।
ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি আসনে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দেলোয়ার হোসেন (ঠাকুরগাঁও-১), আব্দুল হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২) ও মিজানুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩)।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে বহু জাতিগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে। কিন্তু ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর প্রণীত ৭২-এর সংবিধান তাদের যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি। সর্বোচ্চ নাগরিক মর্যাদাও দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেতারেক রহমান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। কোনো আবেগতাড়িত বা ভুল সিদ্ধান্তে যাতে চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
২০ ঘণ্টা আগেসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের ইতিহাসে প্রথম একক জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করেছে। কিন্তু এই সমাবেশে অনুপস্থিত ছিল দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল ও জামায়াতের একসময়ের জোটসঙ্গী বিএনপি।
১ দিন আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তারা এনসিপির গাড়িবহরের পথরোধ এবং পথসভার মঞ্চ ভাঙচুর করেছেন।
২ দিন আগে