গার্ড অব অনার ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কবর জিয়ারত ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেছে।
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সর্বশেষ হতাহতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টা নাগাদ পাওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে, এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ জন।
মাইলস্টোন কলেজ ট্রাজেডি
রাজধানীতে সামরিক স্থাপনার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ঢাকার মতো জনবহুল নগরীতে অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া উন্নয়নের মাঝে এই প্রয়োজনকে সামাল দেওয়ার উপায় কী?
২১ জুলাই ৷ দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট ৷ ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ক্লাসরুমে একটি ফাইটার জেট আঁছড়ে পড়ে ৷ বিমান বিধ্বস্ত হবার পর থেকেই একটি শব্দ বার বার শোনা যাচ্ছে ৷ শব্দটি হল সিট ইজেকশন ৷ সিট ইজেকশন আসলে কী, এটি কীভাবে কাজ করে, এর সীমাবদ্ধতা ও সফলতা নিয়ে বিস্তারিত জানুন স্ট্রিম প্লে তে।
পাখি উড়ে যায়, পড়ে থাকে তাঁর পালক। তেমনি করেই যেন মাইলস্টোনের শিশুরা চলে গেছে, রেখে গেছে শেষ স্মৃতিচিহ্নগুলো। ধ্বংসস্তূপের ভেতর এখনও দিগ্বিদিক পড়ে আছে শিশুদের পোড়া খাতা, ধুলোমাখা জ্যামিতি বক্স, একপাটি জুতা। পরম মমতায় স্বজনেরা খুঁজে ফিরছেন সেসব চিহ্ন।
সিএমএইচ মর্গে রাখা ছয়টি মরদেহের মধ্যে কয়েকটি এতটাই দগ্ধ ও বিকৃত যে লিঙ্গনির্ধারণ করাও সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে এসব মরদেহের দাঁতের অংশ ও হাড় থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি
উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিশাদ সালেহীন। রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পঞ্চম তলায় মেঝেতে বসে আছে সে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সন্তানদের বিষয়ে তথ্য গোপনের কোনো ইচ্ছা সামরিক বাহিনীর নেই।
ঢাকার মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহত রাঙামাটির উক্যছাইং মারমাকে (১৩) চোখের জল আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানিয়েছে স্বজন ও প্রতিবেশীরা। একমাত্র সন্তানের অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাবা উসাইমং মারমা ও মা ডেজিপ্রু মারমা।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কেটে গেছে তিন দিন। কিন্তু এখনো খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ অভিভাবক আফসানা প্রিয়ার।
এ ধরনের গণ-ট্র্যাজেডি, সামষ্টিক আবেগ থেকে যা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়, তা কভার করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের এমন অবস্থান অবশ্য নতুন নয়। দুর্দশাকে উপজীব্য করে সস্তা সাহিত্য রচনার চল রয়েছে বহু আগে থেকেই। মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশের সংবাদমাধ্যমে সেই ঐতিহ্যই প্রবাহিত হয়েছে।
উত্তরার মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পেরিয়ে গেছে ২ দিন। আজ সকালে কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে প্রিয় সন্তানের ব্যাগ নিতে ক্যাম্পাসে হাজির হয়েছিলেন অভিভাবকেরা। সবার চোখে মুখে আতংকের ছাপ। কেমন ছিল সেদিনের দুর্বিষহ দুপুর এ নিয়ে ঢাকা স্ট্রিমের সাথে কথা বলেছেন তারা।
স্কুল ছুটির কিছু পরে নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু আব্দুল্লাহ শামীমের জন্য ১৩ বছর বয়সী নাওয়াফ উল্লাহ তার বাবা মোহাম্মদ উল্লাহর সঙ্গে অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ সে দেখতে পায়, একটি ছোট বিমান তাদের শ্রেণিকক্ষ ‘প্লাটিনাম’-এর নিচে আছড়ে পড়েছে। মূহুর্তে চারপাশ ঢেকে যায় আগুনের লেলিহান শিখায়।
একজন বৈমানিকের চোখে দেখা
২১ জুলাই সোমবার আমাদের জীবনে দুর্যোগ নেমে এল। ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান হলো বিধ্বস্ত। বেলা একটার খানিক পরে অবতরণের আগমুহূর্তে স্কুলের হায়দার আলী ভবনের সামনে বিধ্বস্ত হয় এফ-৭ ফাইটার বিমানটি।