leadT1ad

আজহারুল ইসলাম কারামুক্ত, 'যুদ্ধাপরাধীর' মুক্তিতে বিক্ষোভ বাম শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৫, ১৮: ৪৯

জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম আজ বুধবার (২৮ মে) সকালে কারামুক্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ছিল।

বুধবার সকাল ৯ টা ৫ মিনিটে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি তবে অসুস্থতার কারণে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিত্‌সা নিচ্ছিলেন আজহারুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাগজপত্র পাস হয়ে আসার পর হাসপাতাল থেকে তিনি মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির।

আজহারুলের মুক্তির সময় তাঁর সঙ্গে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। তাঁকে বহনকারী একটি কালো এসইউভি শাহবাগের উদ্দেশে যাত্রা করে। এ সময় দলটির নেতাকর্মীরা তাঁকে সংবর্ধনা জানান।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, একটি অভিযোগে ২৫ বছর ও আরেকটিতে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগ সেই রায় আংশিক বহাল রাখে। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আজহারুলের রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ পুনরায় আপিল শুনানির অনুমতি দেয়। শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার সর্বসম্মত রায়ে আজহারুল ইসলামকে সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

রায়ে বলা হয়, আর কোনো মামলা না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গতকাল রাতেই এই রায়ের আদেশ পৌঁছে যায় কারাগারে এবং আজ সকালে তাঁর মুক্তি কার্যকর হয়।

shahabag

প্রতিক্রিয়া ও বিক্ষোভ

আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে রায়কে ‘সত্যের বিজয়’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এই রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, সত্যকে চেপে রাখা যায় না।’

অন্যদিকে, বাম ছাত্র সংগঠনগুলো এই রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। রায় ঘোষণার পর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট মশাল মিছিল করলে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আজহারুল ইসলাম ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে রংপুর অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগসহ মোট ৯টি অভিযোগ আনা হয়, ছয়টিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদনে আজহারের পক্ষ থেকে আইনজীবীরা ১৪টি যুক্তি তুলে ধরেন। শুনানির ভিত্তিতে আদালত সব অভিযোগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত