leadT1ad
সরাসরি

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু

২৩: ০০

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু

অবশেষে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট হলে আজ রাত সোয়া দশটার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল পাঁচটায়। তবে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা পাঁচটার পরেও ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

ভোটগ্রহণ শেষে ২১ টি হল থেকে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে নেওয়া হয়। এরপর রাত সোয়া দশটার দিকে ভোটগণনা শুরু হয়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনের ফল পেতে আগামীকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টম্বর) দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’

এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদল ছাড়াও আরও চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

২২: ১১

জাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মিছিল, পুনর্নির্বাচনের দাবি

জাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মিছিল, পুনর্নির্বাচনের দাবি

জাকসু নির্বাচন বয়কট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিল বের করেন শাখা ছাত্রদল মনোনীত জাকসুর প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে শাখা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বলেন, জাকসুর নির্বাচন বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।

২১: ১১

ফল পেতে আগামীকাল দুপুর হতে পারে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলছে। নির্বাচনের ফল পেতে আগামীকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টম্বর) দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

১৯: ১৮

এবার ভোট বয়কট প্রগতিশীলদের, পুনর্নির্বাচন দাবি

জাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন প্রগতিশীল সংগঠনের প্রার্থীরা। এই দাবিতে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও একাত্মতা জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান বলেন, ‘আমরা অনিয়মের নির্বাচন বয়কট করছি। দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্বাচন দাবি করছি।’

তিনি বলেন, ‘পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন করে নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করতে হবে।’

সম্প্রীতির এক্য ছাড়াও এই দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংশপ্তক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদের প্রার্থীরা। পাশাপাশি কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও সংহতি জানান।

এর আগে ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা।

১৮: ১৮

ছাত্রদলের পর নির্বাচন বর্জন সংশপ্তক পর্ষদের

ছাত্রদলের পর জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে বামপন্থীদের একাংশের প্যানেল সংশপ্তক পর্ষদও। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় প্যানেলটি। প্রশাসনের ন্যাক্কারজনক ভূমিকা এবং ছাত্রশিবিরকে ভোট জালিয়াতিতে সহায়তা করার প্রতিবাদে প্যানেলটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।

প্যানেলটি অভিযোগ করে, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ছাত্রী সংস্থার শিক্ষার্থীরা জাল ভোট দিচ্ছিল এবং শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ব্যালট পেপার গিয়েছে ৪০০টি।

এ ছাড়া, ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত না করার কারণে যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছিল এবং রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণ মিলেছে বলে জানায় প্যানেলটি। প্রতিটি হলেই বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতের অবস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণও এ বয়কটের পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে ‘অনিয়মের প্রশাসন ও ছাত্রশিবিরের এই ভোট ডাকাতির চক্রান্তকে’ প্রতিহত করতে জাকসুতে অংশগ্রহণকারী সব প্যানেল ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়।

১৮: ০৬

নির্বাচন বর্জন করে যা বললেন বিএনপিপন্থী দুই শিক্ষক

জাকসু নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিপন্থী শিক্ষক নাহরিন ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, এই দায়িত্বে (মনিটরিংয়ের) থাকা মানে, নিজেদের কাছে নিজেদের জবাবদিহিতা নাই। আমরা যদি এইরকম প্রহসন দেখে এই নির্বাচনের সাথে থাকি, তাহলে কোনোভাবেই আমার নিজের কাছে, আমার বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকতে পারব না। এইজন্য আমরা..আমরা যারা দায়িত্বে আছি, যে শিক্ষকরা, আমরা এই নির্বাচন বর্জন করলাম।’

আরেক শিক্ষক শামীমা সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচনের সময় কেন তারা নতুন নতুন ভোটার তৈরি করছে? এই জায়গা থেকে আমার মনে হচ্ছে, এখানে নানান ধরণের অনিয়ম হচ্ছে। আমরা গতকাল থেকেই শুনতে পাচ্ছিলাম, আপনারা ফেসবুকে দেখেছেন, অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। কেন অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হলো? নিশ্চয়ই এটার পেছনে উদ্দেশ্য আছে। আমার মনে হয়েছে, আজকের যে নির্বাচনটা, সেটা ছিল আসলে একটা সাজানো নাটক। এই নাটক দেখে মনে হয়েছে, আমাদের সরে আসা দরকার। সেই জায়গা থেকে আমরা আসলে এই নির্বাচনটাকে বর্জন করেছি।’

১৭: ৫০

শেষ হলো জাকসুর ভোটগ্রহণ, এখন ফলের অপেক্ষা

দিনব্যাপী নানা উত্তেজনা ও ঘটনার মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টা নাগাদ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা পাঁচটার পরেও ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এখন ভোট গণনার প্রস্তুতি চলছে। এখন ফল জানার অপেক্ষা।

শুরুতে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার কথা থাকলেও, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণ করা হবে ম্যানুয়ালি।

আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ৯টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু হলে ভোটগ্রহণ শুরু হতে দেরি হয়।

বিকেল পৌনে চারটা নাগাদ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। কিছু শিক্ষকও এর পর পরই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

জাকসুতে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ এবং ছাত্র ৬ হাজার ১৫ জন। একই সঙ্গে ২১টি হল সংসদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়।

১৬: ৫৭

কারচুপির অভিযোগে এনে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা বিএনপিপন্থী তিন শিক্ষকের

কারচুপির অভিযোগে এনে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা বিএনপিপন্থী তিন শিক্ষকের

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে এনে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিপন্থী তিন শিক্ষক। তাঁরা হলেন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও নাহরিন ইসলাম খান। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয়ভাবে জাকসু নির্বাচন মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। বাকি দুজন হলের মনিটরিং করছিলেন।

তাঁরা ভোট বর্জনের ঘোষণাও দেন। তাঁরা জানান, আরো কয়েকজন শিক্ষক একই ঘোষণা দেবেন।

১৬: ৪৫

যেসব অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল

ভোট বর্জনের পর ভোটগ্রহণের অসঙ্গতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে দরখাস্ত দিয়েছে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান ও জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী প্যনেলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনারের কাছে দরখাস্ত দিয়েছেন।

তাঁদের দেওয়া দরখাস্তে বলা হয়, আজকের ভোট গ্রহণের সময় বিভিন্ন অসঙ্গতি আমাদেরকে হতাশ করেছে। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে জেতানোর জন্য প্রশাসন ফ্যাসিবাদ স্টাইলে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে।

দরখাস্তে তাঁরা কিছু অসঙ্গতির কথাও উল্লেখ করেছেন। যেমন, যথাসমযে ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া; প্রার্থীদেরকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে না দেওয়া; নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে শিবির সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের হাতে লিফলেট বিতরণ; ১৫ নং হলে জাল ভোট দেওয়া ও ভিপি প্রার্থীকে হেনস্থা; কিছু কেন্দ্রে ভোট কারচুপির মহোৎসব; অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার না করা; ভোটার ভালিকায় ছবি না থাকায় একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া ইত্যাদি।

১৫: ৫০

জাকসু নির্বাচন বয়কট করল ছাত্রদল

ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটায় মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল মনোনীত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী। এসময় তার সঙ্গে ছাত্রদল মনোনীত অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈশাখী বলেন, ‘তাজউদ্দীন হলে আমাদের ঢুকতে দেয়নি। তালিকায় ভোটারদের ছবি নেই, ২১ নং হলে মব সৃষ্টি করা হয়েছে। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলা হয়েছে।’

এই নির্বাচন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে অভিযোগ করে বৈশাখী বলেন, ‘জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আমরা চাইনি। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালটেই ভোট হচ্ছে। ১০ থেকে ২০ শতাংশ ব্যালট শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা?

তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েদের হলে একই মেয়ে বারবার ভোট দিতে গেছেন। শিবিরপন্থী সাংবাদিকরা মিসবিহ্যাভ করেছেন ছাত্রদলের প্রার্থীদের সঙ্গে, সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটি কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন। তাই নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি। নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।‘

১৫: ৪৩

মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন ছাত্রদল নেতা

প্রক্টর অফিসে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহান। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ও প্রক্টর একেএম রাশিদুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জাকসুর ভোটগ্রহণ চলাকালে অবৈধভাবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে অবস্থান করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

১৫: ০৬

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের

জাকসু নির্বাচনে অনিয়ম ও কারসাজির অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’। নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন জামায়াত-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম। এ ছাড়া, প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা প্রদান এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানোর অভিযোগও তোলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সিয়াম অভিযোগ করেন, ভোট শুরু হওয়ার পর ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণ করলেও দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ছিলেন নির্বিকার।

এই প্যানেলের প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে সিয়াম বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা চারটা কেন্দ্র থেকে ফিরে এসেছি। সেখানে কেন্দ্রের পরিস্থিতি কেমন, তা দেখতে ঢুকতে চেয়েছিলাম। শুধু কেন্দ্র না, যেখানে অন্য প্রার্থীরা দাঁড়িয়ে আছেন, সেই পর্যন্তও আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু আমরা জানতাম, রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে প্রার্থীরা পাঁচ থেকে সাত মিনিটের জন্য কেন্দ্র ভিজিট করতে পারবে। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারছি না।‘

সিয়াম আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি দিলেও অনেক কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছেন। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন একটি নির্দিষ্ট সংগঠনকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটের মাধ্যমে যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিয়াম।

১৪: ৫১

ক্যাম্পাসের বাইরে ‘জড়ো হচ্ছেন বহিরাগতরা’, শিবির-ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ক্যাম্পাসের বাইরে ‘জড়ো হচ্ছেন বহিরাগতরা’, শিবির-ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের বাইরে বহিরাগতরা ভিড় জমাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীদের অভিযোগ, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের বাইরে ভিড় করেছেন। আর ছাত্রশিবির একই অভিযোগ করছেন, ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা স্পষ্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুধু অবস্থান করছে, কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করছে। বাইরে ছাত্রদল-বিএনপি অবস্থান করছে। যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

ছাত্রশিবিরের ভিপি পদপ্রার্থী আরিফুল্লাহ বলেন, ‘খবর পাচ্ছি ক্যাম্পাসের চারপাশে ছাত্রদল অবস্থান করছে। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হলে ছাত্রদল প্রভাব বিস্তার করছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। জাহানারা ইমাম হলে গার্ডকে মারধর করা হয়েছে।’

এর আগে, ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বহিরাগতরা অবস্থান নিয়েছেন।

১৪: ২০

ব্যালট পেপার কেনায় কোনো পক্ষপাত হয়নি: জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ব্যালট পেপার কেনায় কোনো পক্ষপাত হয়নি: জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ব্যালট পেপার ও ভোটগণনার মেশিন কেনার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি পক্ষপাত ছিল না বলে দাবি করেছেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। আজ দুপুরে মওলানা ভাসানী হলে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।

এর কিছুক্ষণ আগে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলকে জয়ী করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই জামায়াতে ইসলামীর এক অখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ও ভোট গণনার ওএমআর মেশিন কেনা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মনিরুজ্জমান জানান, জামায়াত বা পছন্দের কোনো দলকে এই কাজ দেওয়া হয়নি। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কাজ যাচাই করে সেখান থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ সময় তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যাল বিষয়ে জানি না, আমি ইংরেজি সাহিত্যের।’

পরীক্ষায় ব্যালট পেপারের কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে সেটি বাতিল হতে পারে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, সবাই তাঁদের আয়োজনে সন্তুষ্ট।

১৩: ৫৭

কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদল নেতাদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ, হট্টগোল

কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদল নেতাদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ, হট্টগোল

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে (সাবেক বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল) স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ খবর পেয়ে ‘ভোট কারচুপির জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে’—এমন অভিযোগ তুলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান এবং জিএস প্রার্থী ৫-৭ জন নেতাকর্মী নিয়ে হলটিতে প্রবেশ করেন। তাঁরা হলের দোতলায় ভোট কেন্দ্রের সামনে গেলে তাঁদের সামনে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এরপর ‘হলের ভেতরে ছাত্র কেন’ স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানায় ওই হলের ছাত্রীরা। এ সময় হলের কর্মচারীদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে হলের ছাত্রীরা সেখান থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বের করে দেন।

হল সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়ে এসেছেন।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাংলা বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র জিসান ছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে হলের কর্মচারীদের ‘ধাক্কা দেওয়ার’ অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা গেলে তাঁদের সঙ্গেও জিসান ‘খারাপ আচরণ’ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সাংবাদিকরা তাঁকে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জাকসুতে বাগছাস সমর্থিত প্যানেল ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’-এর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা। বিষয়টি নিয়ে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘এখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ছাত্রদলের নেতারা হলের ভেতর ঢুকে যাবেন কেন? এখানে মেয়েদের প্রাইভেসির বিষয় আছে তো। তাঁরা দলবেঁধে হলে ঢুকে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছেন। এখানে শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনা হচ্ছে, অভিযোগ আসতেই পারে। আমি নিজেই তো অন্য প্যানেলের, তাই বলে কি ছেলেদের নিয়ে হলে ঢুকে পড়বো।’

তবে হলে কোনো ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন ১৫ নং ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা নাসরীন জলি। তিনি বলেন, ‘হলে এখন পর্যন্ত কোনো ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি। ১৫ নং ছাত্রী হলে যেটা হয়েছে, ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছিল। এজন্য হল প্রশাসন নতুন কালি না আসা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ স্থগিত করে রেখেছিল।’

১৩: ৩৪

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানের ব্যালট পেপার দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে: ছাত্রদল

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানের ব্যালট পেপার দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে: ছাত্রদল

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালট পেপার দিয়ে জাকসু নির্বাচন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় প্যানেলটির জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী ও এজিএস প্রার্থী (পুরুষ) সাজ্জাদউল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

সাদী অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলকে জয়ী করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই জামায়াতে ইসলামীর এক অখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ও ভোট গণনার ওএমআর মেশিন কেনা হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলে প্রশাসন মেশিনে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে একই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা ব্যালট পেপার দিয়েই আজকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছাত্রশিবির এই প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা করে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে জয়ী হওয়ার নীলনকশা করছে বলেও অভিযোগ করেন সাদী।

ক্যাম্পাসের আশপাশে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জানানো হয়। এমন পরিস্থিতি থাকলে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে অনুৎসাহিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্রদল।

১৩: ১৭

শিবিরের এজেন্ডা নিয়ে আমার হাতে ব্যালট পেপার ধরিয়ে দিয়েছে: ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী

শিবিরের এজেন্ডা নিয়ে আমার হাতে ব্যালট পেপার ধরিয়ে দিয়েছে: ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী

ভোটকেন্দ্রের সামনে ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখীর হাতে ‘ব্যালটপেপার’ দেখা গেছে, এমন অভিযোগের বিষয় নিয়ে ১৫ নং ছাত্রীহলের সামনে হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

পরে তানজিলা হোসেন বৈশাখী সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর হাতে কেউ একজন সেই ব্যালটপেপার ধরিয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করেছেন। তবে তার নাম ও পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

বৈশাখী বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর একজন মেয়ে ও তাঁর সঙ্গে এক সাংবাদিক এসে আমার হাতে ভাঁজ করা ব্যালট পেপার ধরিয়ে দিলেন। তারপর একজন সাংবাদিক লাইভ করা শুরু করলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন, আমি নাকি ভেতর থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে এসেছি, শিবির জিতে যাবে এজন্য। তাহলে তো এটা বোঝাই যায় কার এজেন্ডা সার্ভ করছে।’ তবে সেই সময় পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে প্রবেশই করেননি বলেও দাবি করেন এই প্রার্থী।

ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের ভেতরে ছাত্রদলের লিফলেট নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি জানি না।’

১২: ৫৮

জাবির হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক

জাবির হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতাকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আটকৃত হাফিজুর রহমান সোহান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি ভোট চলাকালে অবৈধভাবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে অবস্থান করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষক, পোলিং এজেন্ট এবং কর্মকর্তারা গত রাত থেকেই সতর্ক আছি। আমি গত রাত সাড়ে ১২টায় এই হল থেকে গিয়েছি। সকাল ১১টার দিকে আমরা খবর পেয়েছি ছাত্রদলের একজন এই হলে অবস্থান করছেন। খবর পাওয়া মাত্রই আমি সেখানে গিয়ে তাঁকে আটক করে প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করেছি। সে এখন প্রক্টর অফিসে আছে।’

নির্বাচনের আচরণবিধির অনুযায়ী এটি ‘শাস্তিযোগ্য হতে পারে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন প্রক্টর অফিস এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। আমি হলের প্রভোস্ট হিসেবে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল, সেটি নিয়েছি।’

১২: ২১

জালভোটের অভিযোগ ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থীর

জালভোটের অভিযোগ ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থীর

ফজিলাতুন্নেসা হলে ঢুকতে ‘বাধা দেওয়া হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানজিনা হোসেন বৈশাখী। তাঁর দাবি, ভেতরে জালভোট হচ্ছে বলে তাঁরা খবর পেয়েছে।

ফজিলাতুন্নেসা হল ছাড়াও অন্য কেন্দ্রগুলোতেও প্রার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বৈশাখী বলেন, ‘শিবিরপন্থীরা আমাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আমরা খবর পেয়েছি, ভেতরে জালভোট হচ্ছে এবং সেখানে (সব প্রার্থীর) পোলিং এজেন্টও নেই। নির্দিষ্ট একটি দলের পোলিং এজেন্ট আছে।’

১২: ০৪

জাকসুতেও জয়ী হওয়ার প্রত্যয় শিবির সমর্থিত ভিপিপ্রার্থীর

জাকসুতেও জয়ী হওয়ার প্রত্যয় শিবির সমর্থিত ভিপিপ্রার্থীর

ভোট দিতে এসে ডাকসুর মতো জাকসুতেও জয়ের আশা ব্যক্ত করেছেন শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ এর ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান জেনারেশন বিগত সময়ে স্বৈরশাসন দেখেছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে শিক্ষার্থীরা দেখছে ছাত্রশিবির সহনশীলতার রাজনীতি করে। জাকসুতে যদি একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে এখানেও আমরা পুরো প্যানেলে জয়ী হতে পারব।’

১১: ৫৯

আড়াই ঘণ্টায় এক কেন্দ্রে ২১ শতাংশ ভোট

আড়াই ঘণ্টায় এক কেন্দ্রে ২১ শতাংশ ভোট

মওলানা ভাসানী হল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে। আড়াই ঘণ্টায় ওই কেন্দ্রে ১১১টি ভোট পড়েছে। সেই হিসাবে ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মহসিন জানান, এই হলে মোট ভোটার ৫১৪ জন।

১১: ৪২

অন্তত ৫ কেন্দ্রে দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরুর অভিযোগ

জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৯টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অন্তত পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে দেরিতে শুরু হয়েছে ভোট। এর মধ্যে ফজিলাতুন্নেসা হলে ৪৫ ও মীর মশাররফ হলে ৩৫ মিনিট দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এ ছাড়াও মওলানা ভাসানী হলে ২০, কাজী নজরুল হলে ১৬ এবং ১০ নম্বর হলে ১৫ মিনিট পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মওলানা ভাসানী হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মহসিন স্ট্রিমকে জানান, এমন নির্বাচন আয়োজনের অভিজ্ঞতা তাঁদের এই প্রথম। নিয়ম-কানুন মেনে সব শুরু করতে তাই খানিকটা দেরি হয়েছে।

১১: ০৬

বৃষ্টিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট

বৃষ্টিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট

সকাল থেকে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটগ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টা যেতে না যেতেই সকাল পৌনে ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, রয়েছে মেঘের গর্জনও।

তবে ভোটকেন্দ্রগুলো হলে হওয়ায় ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে বৃষ্টির কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে বৃষ্টি আসার পরপরই বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ঘটেছে। ফলে ভোটকেন্দ্রগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।

১১: ০০

২১টি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা

জাকসু নির্বাচনে ২১টি ভোটকেন্দ্রে ২২৪টি বুথ বসানো হয়েছে। কেন্দ্রের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে প্রায় ৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এসব সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে কেন্দ্রের পরিবেশ নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি টিম, প্রক্টরিয়াল বডি ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পুরো ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করবেন। দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। জাকসুর জন্য তিন পৃষ্ঠার এবং দুটি হলের জন্য দুই পৃষ্ঠার এবং বাকি হলগুলোর জন্য এক পাতার ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে।

সকালে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, কেন্দ্রগুলোতে দুই স্তরের সিসিটিভি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।

১০: ৫২

ভোটারদের ‘অমোচনীয় কালি না দেওয়ার’ অভিযোগ

জাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের অমোচনীয় কালি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাগছাস সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদের এজিএস প্রার্থী আল আমিন এমন অভিযোগ করেন। পাশাপাশি আবু তৌহিদ মো. সিয়াম প্রার্থীদের কেন্দ্রের সামনে প্রচারপত্র বিতরণেরও অভিযোগ করেন।

সিয়াম স্ট্রিমকে বলেন, ‘অনেক ভোটার ভোট দেওয়ার পরও অমোচনীয় কালি দেওয়া হচ্ছে না। অনেক প্রার্থী কেন্দ্রের সামনে প্রচারপত্র বিতরণের অভিযোগ এসেছে।’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদের এজিএস প্রার্থী আল আমিন বলেন, ‘আমাদের হলে ভোট দেওয়ার সময় কোনো ভোটারের আঙুলের ওপর মার্ক দেওয়া হচ্ছে না। শুধু সই নিয়ে ব্যালট পেপার দিচ্ছে।’

শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বাঁধন ও ইশতিয়াক স্ট্রিমকে জানান, তারা তাদের হলে ভোট দিয়েছেন। তবে অমোচনীয় কালি দেওয়া হয়নি।

বাঁধন বলেন, ‘কালি কোনো ফ্যাক্টর নয়, কারণ তিন ধাপের যাচাই শেষে একজন ভোটার বুথে প্রবেশ করেন। আর কালি মোছার কেউ পরিকল্পনা করলে সেটাও সম্ভব। হলে সবাই সবাইকে চেনেন, কাজেই জাল ভোট দেওয়া অসম্ভব।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের পোলিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার মন্ডল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে আমাদের মার্কার সরবরাহ করা হয়নি।’

পরে সকাল ১০টার দিকে নির্বাচন কমিশন অফিসে মাফরুহী সাত্তারকে ফোন করে অভিযোগ জানান সিয়াম।

অন্যদিকে, শহীদ রফিক জব্বার হলে মোট ভোটার ৬৫১ জন। প্রথম এক ঘণ্টা ২০ মিনিটে এই হলে ভোট পড়েছে ৫৮টি। এই হলে ছাত্রদের হাতে কালো মার্কার কলম দিয়ে দাগ দেওয়া হচ্ছে। হলের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে মার্কার পেয়েছি।’

১০: ১৬

ডাকসুর চেয়েও জাকসুতে ভোট গণনায় বেশি সময় লাগতে পারে

ডাকসুর তুলনায় জাকসুতে ভোটার কম হলেও ভোট গণনায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার স্ট্রিমকে জানান, ম্যানুয়ালি ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জাকসুর ভোট গণনায় দেরি হবে। প্রার্থীদের আপত্তি আমলে নিয়ে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোট গণনায় সারারাত লাগতে পারে।

১০: ১২

দুই বিষয়ে অভিযোগ শিবির-সমর্থিত ভিপিপ্রার্থীর

ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপিপ্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কিন্তু দুইটি বিষয়ে আমরা অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে—প্রথমত, ছাত্রদলের নেতাকর্মী, যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে, তাঁরা ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল সন্ধ্যায়ও বলেছিল, সন্ধ্যা ৬টা থেকে কোনো সাবেক শিক্ষার্থী, কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। কিন্তু আমরা তাঁদের দেখতে পাচ্ছি।’

দ্বিতীয় বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শহীদ সালাম বরকত হলে মোট ভোটারের সংখ্যার চেয়ে অন্তত ১৫০টি ব্যালট বেশি পাওয়া গেছে। ভোটারের চেয়ে ব্যালট বেশি হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগের।’

০৯: ৩৭

জাকসু নির্বাচন ঘিরে: ক্যাম্পাসজুড়ে কড়া নিরাপত্তা

৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ৮ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন আনসার ও ১৬০০ পুলিশ সদস্য ও ২০০ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে খোঁজখবর নিয়েছি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো ধরনের হুমকি নেই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।’

ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্ট্রিম ছবি
ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্ট্রিম ছবি

এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

০৯: ৩১

জাকসু নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ শিবির সভাপতির

জাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ‘ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বুধবার রাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।

জাহিদুল বলেন, ‘জাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। হাসবুনাল্লাহ।’

জাহিদুল ইসলামের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট
জাহিদুল ইসলামের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট

০৯: ১৮

জাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু, শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি

জাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু, শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টার কিছুক্ষণ পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

ভোট দিতে এসে ভাসানী হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৩ বছর আমাদের অধিকার আদায়ের কথা বলার মতো কোনো প্রতিনিধি ছিল না। যেহেতু এতদিন পর সেই সুযোগটা আসছে, সেজন্য সকাল সকালেই যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চলে এসেছি। যাঁরা আমাদের পক্ষে কথা বলবেন বা শিক্ষার্থীদের হয়েই কথা বলবেন, তারাই যেন নির্বাচিত হন; এই প্রত্যাশা করছি।’

প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এক ভোটার। স্ট্রিম ছবি
প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এক ভোটার। স্ট্রিম ছবি

যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁদের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কোনো দলীয় দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন না করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্যই যেন তাঁরা কাজ করেন এবং ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে।’

ভোটগ্রহণের আগে প্রার্থী ও সাংবাদিকদের ফাঁকা ব্যালট বাক্স দেখিয়ে নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে মোট ২২৪টি বুথে দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ চলবে।

২১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা নির্বাচনী দায়িত্বে রয়েছেন। ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ভোট দেবেন। ভোটগ্রহণ শেষে ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করা হবে।

ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ব্যালটবাক্স খুলে দেখান নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্ট্রিম ছবি
ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ব্যালটবাক্স খুলে দেখান নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্ট্রিম ছবি

০৮: ৫৮

সাতসকালে হলে জাবি শিবির সভাপতি, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা

সাতসকালে হলে জাবি শিবির সভাপতি, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা

জাকসু নির্বাচনের ভোট শুরু হবে সকাল ৯টায়, তবে এর প্রায় আড়াই ঘণ্টা আগে ক্যাম্পাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে প্রবেশ করেছেন জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহিবুর রহমান। এসময় শিক্ষার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।

আজ বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে এই বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও স্ট্রিমের কাছে এসেছে। ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘তিনি এই হলের কেউ নন, কীভাবে এখানে ঢোকেন।’ এসময় পাশ থেকে আরেকজন জানতে চান, তিনি কি নির্বাচন করছেন? এর উত্তরে অপরজন বলেন, ‘তাঁর ছাত্রত্ব শেষ, তিনি ৪৭ ব্যাচের।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো অনুমতি ও পাস কার্ড ছাড়াই হলে প্রবেশ করেছেন মুহিবুর রহমান।

০৮: ৪৬

৩৩ বছর পর জাকসু: ভোটের প্রস্তুতি সম্পন্ন, শুরু ৯টায়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ২১টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বুথ থাকবে ২২৪টি। ২১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহাকারী পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিভিন্ন প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এক হাজারের বেশি পুলিশের সদস্য মোতায়ের রাখা হবে। প্রয়োজনে বাড়ানো হবে। পুলিশ সদস্যের অধিকাংশই ক্যাম্পাসের বাইরের দিকে অবস্থান করবেন। ভোটকেন্দ্রগুলোতে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

কেন্দ্রের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রায় ৮০টি সিসিটিভি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এসব সিসি ক্যামেরা দিয়ে কেন্দ্রের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করা হবে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দল, প্রক্টরিয়াল বডি এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পুরো ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করবেন। দুজন ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবেন।

ভোটকেন্দ্রে আনা হয়েছে খালি ব্যালটবাক্স। স্ট্রিম ছবি
ভোটকেন্দ্রে আনা হয়েছে খালি ব্যালটবাক্স। স্ট্রিম ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পরের বছরই প্রথম জাকসু নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮১, ১৯৮৯, ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালসহ মোট ৮ বার নির্বাচন হয়েছে। ১৯৯২ সালে শেষবারের মতো নির্বাচন হয়। কিন্তু ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ছাত্ররা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালালে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ভেঙে দেয় প্রশাসন।

জাকসুতে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ এবং ছাত্র ৬ হাজার ১৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। একই সঙ্গে ২১টি হল সংসদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।

সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী ৯ জন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

একেকটি হলে পদসংখ্যা ১৫। ২১টি হল সংসদে মোট পদ ৩১৫টি। এতে ৪৭৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী নেই। একজন করে প্রার্থী রয়েছে ৬৭টি পদে। সে হিসেবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট হবে।

ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্ট্রিম ছবি
ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্ট্রিম ছবি

জাকসুতে মোট সাতটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে চারটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ও তিনটি আংশিক প্যানেল রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলো হলো ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল, ছাত্রশিবির–সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ–সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম।

আংশিক প্যানেল দিয়েছে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ এবং ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ। এ ছাড়া অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন।