leadT1ad

এআই নির্ভর চাকরিবাজার: দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রস্তুতি নিয়ে সেমিনার

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) আইসিটি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সেমিনার। ছবি: সংগঠনের সৌজন্যে

‘এআই নির্ভর চাকরিবাজার: আইসিটি দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা কতটা প্রস্তুত’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করেছে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) আইসিটি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। সেমিনারে বক্তরা বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিস্তারের এই সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিভিত্তিক (আইসিটি) শিক্ষার সম্প্রসারণ প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করলে এআই চাকরির বাজারে কোন চ্যালেঞ্জ নয়। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় যথাযথভাবে আইসিটির সংযোজনের পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষে আইসিটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষেও বিশেষায়িত আইসিটি কোর্স প্রচলনের চিন্তা-ভাবনা আছে। সার্বিক বিষয়ে সফলতার জন্য আইসিটি শিক্ষকদের সহযোগিতা দরকার।’

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইউনিসেফের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, এআই আমাদের জন্য হুমকি নয়, সুযোগ। তবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে না পারলে এই সুযোগ অন্য দেশ নিয়ে যাবে। চাকরি হারিয়ে যাওয়ার ভয় নয়, বরং দক্ষতা হারানোর ভয় সবচেয়ে বড়। যিনি আইসিটি জানেন না, তিনিই প্রকৃত ঝুঁকিতে আছেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে আইসিটি শিক্ষক সংকট মারাত্মক বলেও উল্লেখ করেন আলোচকরা। তারা সারা দেশে আইসিটি শিক্ষক নিয়োগের জন্য দ্রুত পদ সৃষ্টি জরুরি এবং বর্তমানে আইসিটি শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন অবিলম্বে তাদের ওপরের পদ সৃষ্টির তাগিদ দেন।

এখনই প্রস্তুতি না নিলে আগামী দিনে বাংলাদেশ এআই-এর অগ্রযাত্রার ‘ট্রেন মিস’ করবে এবং সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও সতর্ক করেন আলোচকরা। সেমিনারের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও চাকরিবাজারে এআই-ভিত্তিক মানবসম্পদ তৈরির জরুরি প্রয়োজনে সবাই একমত হন।

সেমিনারে বেশ কয়েকটি সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো—ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আইসিটি সিলেবাসের সমন্বয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে এআই বা ডেটা সাইন্সের মতো বিশেষায়িত বিষয়ে অনার্স চালু ও শিক্ষক পদ সৃষ্টি, ভর্তি পরীক্ষায় আইসিটি বিষয় সংযোজন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য আপস্কিলিং ও রিস্কিলিং প্রশিক্ষণ চালু এবং আইসিটি ল্যাব পরিচালনা ও মডারেশন বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত