বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেছেন, একাত্তরের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দুবার সমাধান হয়েছে। প্রথমবার ১৯৭৪ সালে এবং দ্বিতীয়বার এই শতকের প্রথম দশকের শুরুর দিকে।
স্ট্রিম ডেস্ক
বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেছেন, একাত্তরের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দুবার সমাধান হয়েছে। প্রথমবার ১৯৭৪ সালে এবং দ্বিতীয়বার এই শতকের প্রথম দশকের শুরুর দিকে।
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসহাক দার বলেন, ‘এই বিষয়ে ১৯৭৪ সালে প্রথমবার লিখিতভাবে একটি সমাধান হয়েছিল এবং সেই দলিলটি ঐতিহাসিক। সেই দলিল দুই দেশেই সংরক্ষিত আছে। এরপর পারভেজ মোশাররফ এখানে এসে খুব খোলামেলা ও আন্তরিকভাবে বিষয়টি পুনরায় সমাধান করেন।’
এরপর ইসহাক দার বলেন, ‘অতএব বিষয়টি আসলে সমাধান হয়ে গেছে। একবার ১৯৭৪ সালে এবং পরে চলতি শতকের প্রথম দশকের শুরুতে। তখন জেনারেল মোশাররফ বাংলাদেশ সফরে এসে আমাদের পুরো জাতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।’
ইসহাক দার অতীতের গ্লানি ভুলে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এবং দুই দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
দার বলেন, ‘আমি মনে করি এখন ইসলাম ধর্ম, পবিত্র কোরআন এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র হাদিসে যেমনটা বলেছেন, সেভাবে আমাদের নতুন করে শুরু করে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা একটা পরিবার এবং আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিৎ।’
আটকে পড়া পাকিস্তানি তথা বিহারীদের ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়ায় এটি আর সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না।
তবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া এবং সম্পদ ভাগাভাগি করার মতো দুটো বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ আমলে এই অজুহাতেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা হয়েছে।
তাহলে এখন প্রশ্ন হলো, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের এই দাবির সত্যতা কতটুকু?
১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে কী ছিল
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল ভারতের নয়াদিল্লীতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধবন্দিদের প্রত্যাবাসন এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, চুক্তির বিবরণ থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো বাংলাদেশের জনগণের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তারা তাদের (পাকিস্তানকে) ক্ষমা করে দেন এবং অতীতের কথা ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে যান।
তার বিপরীতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তার দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের এমন বার্তা জানিয়ে দেন যে তিনিও বাংলাদেশের জনগণকে ক্ষমা করে, অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কীভাবে ক্ষমা করতে হয় বাংলাদেশের মানুষ তা ভালোই জানে।’
তবে চুক্তিতে পাকিস্তান গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি, শুধু দুঃখপ্রকাশ করে। আসলে সেটি ছিল একটি কূটনৈতিক উদ্যোগ, যেখানে পাকিস্তান দুঃখপ্রকাশের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেটি গণহত্যার জন্য কোনো স্পষ্ট ক্ষমাপ্রার্থনা বা দায় স্বীকার ছিল না।
ওই চুক্তিতে পাকিস্তান বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিলেও সম্পদ ভাগাভাগির বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ সমাধান হয়নি। ফলে সম্পদ বণ্টনের বিষয়টিও এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
ভুট্টোর তওবা
ওই চুক্তির পর জুনে শতাধিক ব্যক্তির বিশাল এক বহর নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো। সেই সফরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের ওপর চালানো নির্যাতন ও গণহত্যার ঘটনায় ‘তওবা’ বা অনুশোচনা প্রকাশ করে এর জন্য এককভাবে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসকদের দায়ী করেন ভুট্টো।
১৯৭১ সালের গণহত্যাকে ‘বেদনাদায়ক’ বর্ণনা করে তার ইতি টেনে দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনেরও আহ্বান জানান ভুট্টো। ২৮ জুন বিকেলে বঙ্গভবনে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভুট্টো এই দুঃখপ্রকাশ করেন।
সে সময় দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকায় ভুট্টোর বক্তব্য তুলে ধরে হয়েছিল এভাবে, ‘আমরা সকলেই নির্যাতনের শিকারে পরিণত হইয়াছি। দেশ বিভক্ত হইয়াছে, ঐক্য বিনষ্ট হইয়াছে। অনেক দেরী হইয়াছে সত্য, কিন্তু তওবার সময় এখনও অতিক্রান্ত হয় নাই।’
ভুট্টো বলেন, যা হয়েছে তা নিয়ে অন্তর থেকে অনুতপ্ত হতে বা তওবা করতে দেরি হয়ে যায়নি। পাকিস্তানের মানুষ আপনাদের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানায়। তারা এবং পাকিস্তানের সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে স্বীকার করে এবং শ্রদ্ধা জানায়।’
তবে ওই ভাষণে একাত্তরে গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার জন্য একতরফাভাবে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসকদের দায়ী করেন ভুট্টো।
ভুট্টো বলেন, ‘ক্ষমতালোভী একনায়কদের অপরাধ ও পাপের জন্য আমাদের দায়ী করিবেন না। যাহারা আপনাদের ও আমাদের শাসন করিয়াছে, তাহাদের সহিত আমাদের এক করিয়া দেখিবেন না।’
তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবিভক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ভাগ চাইলে সেটি অবশ্য তখন বুঝিয়ে দিতে রাজি হননি ভুট্টো। ফলে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে দফায় দফায় বৈঠক করার পরও দুদেশের আলোচনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
পারভেজ মোশাররফের দুঃখপ্রকাশ
২০০২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফ ঢাকা সফরকালে শহীদ মিনারে গিয়ে ১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। বিবিসির প্রতিবেদন মতে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভাইয়েরা এবং বোনেরা পাকিস্তানে দুঃখিত এবং এই ঘটনাগুলোর জন্য অনুতপ্ত।’
মোশাররফের এই দুঃখপ্রকাশও আসলে কোনো আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা ছিল না। কারণ, পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে গণহত্যার দায় স্বীকার করা হয়নি। মোশাররফের সফরেও সম্পদ বণ্টন নিয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
বাংলাদেশে বিষয়টি কীভাবে দেখা হয়
দুঃখপ্রকাশের এই ঘটনাগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কখনোই আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। বাংলাদেশ বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছে যে পাকিস্তানের উচিত ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া। বাংলাদেশের মতে, ১৯৭৪ সালের চুক্তি বা মোশাররফের দুঃখপ্রকাশ এই দাবিকে পূর্ণ করে না। কারণ, এগুলো স্পষ্টভাবে গণহত্যার দায় স্বীকার করেনি।
বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের দাবি বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনও স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পাকিস্তানের এই দাবির সঙ্গে একমত নই।‘
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের মন্তব্যেও এর প্রতিধনি শোনা যায়। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা বলেছেন, পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে অতীতের বৈরী সম্পর্ক পেছনে ফেলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশকে নিয়ে ১৯৭১ সালের ইস্যুটির সমাধান করা।
গতকাল শনিবার সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে এনসিপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল পাকিস্তান হাইকমিশনে ইসহাক দারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। সেখানেই এক বৈঠকে তাঁরা এই মন্তব্য করেন। তারা গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা এবং বাকি বিষয়গুলোর সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।
একমাত্র ইমরান খানই পাকিস্তানের দায় স্বীকার করেন
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের অন্যায় অবিচারের বিষয়টি দেশটির শীর্ষ রাজনীতিবিদদের মধ্যে একমাত্র ইমরান খানই স্বীকার করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে ইমরান খান এই স্বীকারোক্তি করেন। সেসময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধের জেরে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবে ক্ষমতা হারানোর পর ইমরান খানের দল আগাম নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছিল।
ইমরান খান বলেছিলেন, পাকিস্তানে এখন আবার ১৯৭১ সালের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং তার সঙ্গেও শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই অন্যায় করা হচ্ছে। আগাম নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর লং মার্চের পঞ্চম দিনে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালাতে এক পথসভায় ইমরান খান এ কথা বলেন।
ইমরান খান বলেন, ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পরও একটি রাজনৈতিক দলকে দেশ শাসনের সুযোগ না দেওয়ায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে গিয়েছিল। সবাই জানে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে চতুর রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টো সেনাবাহিনীকে তৎকালীন পাকিস্তানের বৃহত্তম জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয় এবং সংঘর্ষের পথে নিয়ে যায়। বর্তমানে নওয়াজ শরিফ এবং আসিফ আলি জারদারিও একই কাজ করছেন। তাঁরাও পিটিআইয়ের ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে ষড়যন্ত্র করছেন।’
ওই মন্তব্যের দুদিন পরই (৩ নভেম্বর ২০২২) ইমরান খানের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পরদিন (৪ নভেম্বর) লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবার বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে ইমরান খান বলেন, ‘১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) অন্যায়-অবিচার করেছিল। আর এ জন্যই পূর্ব পাকিস্তান আলাদা হয়ে গিয়েছিল। তারা আমাদের ছেড়ে যেতে চায়নি, কিন্তু আমরা নৃশংসতা করেছি, যে কারণে তারা আমাদের ঘৃণা করতে বাধ্য হয়েছে।‘
ইমরান বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানে কী হয়েছিল? যে দল নির্বাচনে জিতেছিল সামরিক বাহিনী তার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল এবং তাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আপনারাও (বর্তমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনী) এখন একই কাজ করছেন। বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বশীভূত করার এবং ওই দলের নেতাকে হত্যার চেষ্টা করছেন।’
যদিও ইমরান খান রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে এসব কথা বলেননি, তবুও তাঁর এই কথাগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। ইমরান খানের এসব কথার মধ্য দিয়েই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের কোনো শীর্ষ রাজনীতিবিদ এবং প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা ব্যক্তি পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানিদের অন্যায়-অবিচার ও নৃশংসতার বিষয়টি স্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেছেন, একাত্তরের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দুবার সমাধান হয়েছে। প্রথমবার ১৯৭৪ সালে এবং দ্বিতীয়বার এই শতকের প্রথম দশকের শুরুর দিকে।
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসহাক দার বলেন, ‘এই বিষয়ে ১৯৭৪ সালে প্রথমবার লিখিতভাবে একটি সমাধান হয়েছিল এবং সেই দলিলটি ঐতিহাসিক। সেই দলিল দুই দেশেই সংরক্ষিত আছে। এরপর পারভেজ মোশাররফ এখানে এসে খুব খোলামেলা ও আন্তরিকভাবে বিষয়টি পুনরায় সমাধান করেন।’
এরপর ইসহাক দার বলেন, ‘অতএব বিষয়টি আসলে সমাধান হয়ে গেছে। একবার ১৯৭৪ সালে এবং পরে চলতি শতকের প্রথম দশকের শুরুতে। তখন জেনারেল মোশাররফ বাংলাদেশ সফরে এসে আমাদের পুরো জাতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।’
ইসহাক দার অতীতের গ্লানি ভুলে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এবং দুই দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
দার বলেন, ‘আমি মনে করি এখন ইসলাম ধর্ম, পবিত্র কোরআন এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র হাদিসে যেমনটা বলেছেন, সেভাবে আমাদের নতুন করে শুরু করে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা একটা পরিবার এবং আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিৎ।’
আটকে পড়া পাকিস্তানি তথা বিহারীদের ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়ায় এটি আর সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না।
তবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া এবং সম্পদ ভাগাভাগি করার মতো দুটো বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ আমলে এই অজুহাতেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা হয়েছে।
তাহলে এখন প্রশ্ন হলো, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের এই দাবির সত্যতা কতটুকু?
১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে কী ছিল
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল ভারতের নয়াদিল্লীতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধবন্দিদের প্রত্যাবাসন এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, চুক্তির বিবরণ থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো বাংলাদেশের জনগণের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তারা তাদের (পাকিস্তানকে) ক্ষমা করে দেন এবং অতীতের কথা ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে যান।
তার বিপরীতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তার দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের এমন বার্তা জানিয়ে দেন যে তিনিও বাংলাদেশের জনগণকে ক্ষমা করে, অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কীভাবে ক্ষমা করতে হয় বাংলাদেশের মানুষ তা ভালোই জানে।’
তবে চুক্তিতে পাকিস্তান গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি, শুধু দুঃখপ্রকাশ করে। আসলে সেটি ছিল একটি কূটনৈতিক উদ্যোগ, যেখানে পাকিস্তান দুঃখপ্রকাশের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেটি গণহত্যার জন্য কোনো স্পষ্ট ক্ষমাপ্রার্থনা বা দায় স্বীকার ছিল না।
ওই চুক্তিতে পাকিস্তান বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিলেও সম্পদ ভাগাভাগির বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ সমাধান হয়নি। ফলে সম্পদ বণ্টনের বিষয়টিও এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
ভুট্টোর তওবা
ওই চুক্তির পর জুনে শতাধিক ব্যক্তির বিশাল এক বহর নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো। সেই সফরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের ওপর চালানো নির্যাতন ও গণহত্যার ঘটনায় ‘তওবা’ বা অনুশোচনা প্রকাশ করে এর জন্য এককভাবে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসকদের দায়ী করেন ভুট্টো।
১৯৭১ সালের গণহত্যাকে ‘বেদনাদায়ক’ বর্ণনা করে তার ইতি টেনে দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনেরও আহ্বান জানান ভুট্টো। ২৮ জুন বিকেলে বঙ্গভবনে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভুট্টো এই দুঃখপ্রকাশ করেন।
সে সময় দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকায় ভুট্টোর বক্তব্য তুলে ধরে হয়েছিল এভাবে, ‘আমরা সকলেই নির্যাতনের শিকারে পরিণত হইয়াছি। দেশ বিভক্ত হইয়াছে, ঐক্য বিনষ্ট হইয়াছে। অনেক দেরী হইয়াছে সত্য, কিন্তু তওবার সময় এখনও অতিক্রান্ত হয় নাই।’
ভুট্টো বলেন, যা হয়েছে তা নিয়ে অন্তর থেকে অনুতপ্ত হতে বা তওবা করতে দেরি হয়ে যায়নি। পাকিস্তানের মানুষ আপনাদের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানায়। তারা এবং পাকিস্তানের সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে স্বীকার করে এবং শ্রদ্ধা জানায়।’
তবে ওই ভাষণে একাত্তরে গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার জন্য একতরফাভাবে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসকদের দায়ী করেন ভুট্টো।
ভুট্টো বলেন, ‘ক্ষমতালোভী একনায়কদের অপরাধ ও পাপের জন্য আমাদের দায়ী করিবেন না। যাহারা আপনাদের ও আমাদের শাসন করিয়াছে, তাহাদের সহিত আমাদের এক করিয়া দেখিবেন না।’
তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবিভক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ভাগ চাইলে সেটি অবশ্য তখন বুঝিয়ে দিতে রাজি হননি ভুট্টো। ফলে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে দফায় দফায় বৈঠক করার পরও দুদেশের আলোচনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
পারভেজ মোশাররফের দুঃখপ্রকাশ
২০০২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফ ঢাকা সফরকালে শহীদ মিনারে গিয়ে ১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। বিবিসির প্রতিবেদন মতে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভাইয়েরা এবং বোনেরা পাকিস্তানে দুঃখিত এবং এই ঘটনাগুলোর জন্য অনুতপ্ত।’
মোশাররফের এই দুঃখপ্রকাশও আসলে কোনো আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা ছিল না। কারণ, পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে গণহত্যার দায় স্বীকার করা হয়নি। মোশাররফের সফরেও সম্পদ বণ্টন নিয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
বাংলাদেশে বিষয়টি কীভাবে দেখা হয়
দুঃখপ্রকাশের এই ঘটনাগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কখনোই আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। বাংলাদেশ বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছে যে পাকিস্তানের উচিত ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া। বাংলাদেশের মতে, ১৯৭৪ সালের চুক্তি বা মোশাররফের দুঃখপ্রকাশ এই দাবিকে পূর্ণ করে না। কারণ, এগুলো স্পষ্টভাবে গণহত্যার দায় স্বীকার করেনি।
বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের দাবি বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনও স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পাকিস্তানের এই দাবির সঙ্গে একমত নই।‘
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের মন্তব্যেও এর প্রতিধনি শোনা যায়। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা বলেছেন, পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে অতীতের বৈরী সম্পর্ক পেছনে ফেলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশকে নিয়ে ১৯৭১ সালের ইস্যুটির সমাধান করা।
গতকাল শনিবার সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে এনসিপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল পাকিস্তান হাইকমিশনে ইসহাক দারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। সেখানেই এক বৈঠকে তাঁরা এই মন্তব্য করেন। তারা গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা এবং বাকি বিষয়গুলোর সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।
একমাত্র ইমরান খানই পাকিস্তানের দায় স্বীকার করেন
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের অন্যায় অবিচারের বিষয়টি দেশটির শীর্ষ রাজনীতিবিদদের মধ্যে একমাত্র ইমরান খানই স্বীকার করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে ইমরান খান এই স্বীকারোক্তি করেন। সেসময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধের জেরে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবে ক্ষমতা হারানোর পর ইমরান খানের দল আগাম নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছিল।
ইমরান খান বলেছিলেন, পাকিস্তানে এখন আবার ১৯৭১ সালের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং তার সঙ্গেও শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই অন্যায় করা হচ্ছে। আগাম নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর লং মার্চের পঞ্চম দিনে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালাতে এক পথসভায় ইমরান খান এ কথা বলেন।
ইমরান খান বলেন, ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পরও একটি রাজনৈতিক দলকে দেশ শাসনের সুযোগ না দেওয়ায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে গিয়েছিল। সবাই জানে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে চতুর রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টো সেনাবাহিনীকে তৎকালীন পাকিস্তানের বৃহত্তম জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয় এবং সংঘর্ষের পথে নিয়ে যায়। বর্তমানে নওয়াজ শরিফ এবং আসিফ আলি জারদারিও একই কাজ করছেন। তাঁরাও পিটিআইয়ের ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে ষড়যন্ত্র করছেন।’
ওই মন্তব্যের দুদিন পরই (৩ নভেম্বর ২০২২) ইমরান খানের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পরদিন (৪ নভেম্বর) লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবার বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে ইমরান খান বলেন, ‘১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) অন্যায়-অবিচার করেছিল। আর এ জন্যই পূর্ব পাকিস্তান আলাদা হয়ে গিয়েছিল। তারা আমাদের ছেড়ে যেতে চায়নি, কিন্তু আমরা নৃশংসতা করেছি, যে কারণে তারা আমাদের ঘৃণা করতে বাধ্য হয়েছে।‘
ইমরান বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানে কী হয়েছিল? যে দল নির্বাচনে জিতেছিল সামরিক বাহিনী তার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল এবং তাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আপনারাও (বর্তমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনী) এখন একই কাজ করছেন। বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বশীভূত করার এবং ওই দলের নেতাকে হত্যার চেষ্টা করছেন।’
যদিও ইমরান খান রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে এসব কথা বলেননি, তবুও তাঁর এই কথাগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। ইমরান খানের এসব কথার মধ্য দিয়েই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের কোনো শীর্ষ রাজনীতিবিদ এবং প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা ব্যক্তি পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানিদের অন্যায়-অবিচার ও নৃশংসতার বিষয়টি স্বীকার করেন।
ঢাকার খিলগাঁও থানাধীন ত্রিমোহনী বাজার। সেখানকার বালু নদীর বাঁশের সাঁকোটি পার হলেই দাসেরকান্দি এলাকা। গ্রামীণ আবহে এই এলাকার কিছুটা পথ ব্যাটারিচালিত রিকশাতেও যাওয়া যায়। এরপরই নিচু জলাভূমির মধ্য দিয়ে মাটির রাস্তা। বালুমাটির এই পথে হেঁটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। মিনিট বিশেক গেলে পাওয়া যায় একটি দোতলা স্থাপন
১৮ মিনিট আগেদীর্ঘ ৩৪ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে যাচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট)। নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুতই প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী আচরণবিধিও।
১ ঘণ্টা আগেএকাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের বিষয়ে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে বাংলাদেশ একমত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তবে দুই দেশের অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে আগামী দিনে আলোচনা চালিয়ে যেতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেডাকসু নির্বাচনে সাইবার বুলিং ঠেকাতে বেশ কিছু অনলাইন পেজ সাময়িক বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে