চট্টগ্রাম ডিআইজির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের দুই দফায় হামলায় আহত পঁচিশ শিক্ষার্থী। ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে থানা ঘেরাও এবং সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। একই দাবিতে বিক্ষোভ চলছে চট্টগ্রাম ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে আন্দোলন করছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সকালে থানা ঘেরাও ও পটিয়া বাজারের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পরে একই দাবিতে তাঁরা চট্টগ্রাম পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রামের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘পটিয়ার ঘটনায় বিচারের দাবিতে আমার অফিসের সামনেও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আমাদের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর কয়েক দফা লাঠিচার্জ করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। এতে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। এর প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। তবে রাতে থানায় হামলা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করার দাবি করেছে প্রশাসন।
পটিয়া থানা ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, জুলাই শহীদদের স্মরণে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে থানার মোড়ের দিকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাঙামাটি জেলার নেতা দীপংকর দে-সহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে দেখেন তাঁরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাঁদের দিকে এগিয়ে গেলে দীপংকর দে ছাড়া অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে দীপংকরকে ধরে স্লোগান দিতে দিতে থানায় নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। সেখানে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে রাত ১২টার দিকে আবারও থানার সামনে যান বৈষম্যবিরোধী নেতা-কর্মীরা। এ সময় আবারও তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে আহতদের পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দুই দফা লাঠিপেটায় গুরুতর আহতদের মধ্যে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পটিয়ার সংগঠক আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১), মো. নাদিম (২১), মো. আয়াস (১৬), মো. আকিল (১৮), মো. ইরফান উদ্দিন (১৮), তাসরিয়ান হাসান (১৮), মো. রায়হান উদ্দিন (২০), সাইফুল ইসলাম (১৭), জাহেদুল করিম শাহী (১৮), মুনতাসির আহমদ (১৭), সাইফুল ইসলাম (১৮)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি জানান, ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে শিক্ষার্থীরা থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পটিয়া থানার ওসির নেতৃত্বে অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানিতে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এর প্রতিবাদে ওসিকে প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে বুধবার সকাল থেকে থানা ঘেরাও ও আরাকান সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পটিয়া বিএনপির সম্পাদক পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্ট্রিমকে বলেন, ‘পটিয়া থানার ওসি জাহেদ নূর দায়িত্ব পাওয়ার গত আট মাসে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষ কোনো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেননি। এই সুযোগে অন্যান্য এলাকার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পটিয়ায় এসে আত্মগোপন করে আছেন।’
পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর দে-কে থানায় নিয়ে আসার পর আন্দোলনকারীরা তাঁকে মারধর করছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা জোর করে থানার ভেতর ঢোকার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়।’
চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে স্ট্রিমকে বলেন, ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে ডিআইজি আহসান হাবীব বলেন, ‘ওসির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম সানতু জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনাটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চলছে। রাতে থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কারো অতি উৎসাহী ভূমিকা থাকলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।’
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে আন্দোলন করছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সকালে থানা ঘেরাও ও পটিয়া বাজারের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পরে একই দাবিতে তাঁরা চট্টগ্রাম পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রামের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘পটিয়ার ঘটনায় বিচারের দাবিতে আমার অফিসের সামনেও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আমাদের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর কয়েক দফা লাঠিচার্জ করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। এতে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। এর প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। তবে রাতে থানায় হামলা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করার দাবি করেছে প্রশাসন।
পটিয়া থানা ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, জুলাই শহীদদের স্মরণে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে থানার মোড়ের দিকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাঙামাটি জেলার নেতা দীপংকর দে-সহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে দেখেন তাঁরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাঁদের দিকে এগিয়ে গেলে দীপংকর দে ছাড়া অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে দীপংকরকে ধরে স্লোগান দিতে দিতে থানায় নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। সেখানে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে রাত ১২টার দিকে আবারও থানার সামনে যান বৈষম্যবিরোধী নেতা-কর্মীরা। এ সময় আবারও তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে আহতদের পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দুই দফা লাঠিপেটায় গুরুতর আহতদের মধ্যে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পটিয়ার সংগঠক আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১), মো. নাদিম (২১), মো. আয়াস (১৬), মো. আকিল (১৮), মো. ইরফান উদ্দিন (১৮), তাসরিয়ান হাসান (১৮), মো. রায়হান উদ্দিন (২০), সাইফুল ইসলাম (১৭), জাহেদুল করিম শাহী (১৮), মুনতাসির আহমদ (১৭), সাইফুল ইসলাম (১৮)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি জানান, ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে শিক্ষার্থীরা থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পটিয়া থানার ওসির নেতৃত্বে অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানিতে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এর প্রতিবাদে ওসিকে প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে বুধবার সকাল থেকে থানা ঘেরাও ও আরাকান সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পটিয়া বিএনপির সম্পাদক পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্ট্রিমকে বলেন, ‘পটিয়া থানার ওসি জাহেদ নূর দায়িত্ব পাওয়ার গত আট মাসে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষ কোনো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেননি। এই সুযোগে অন্যান্য এলাকার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পটিয়ায় এসে আত্মগোপন করে আছেন।’
পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর দে-কে থানায় নিয়ে আসার পর আন্দোলনকারীরা তাঁকে মারধর করছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা জোর করে থানার ভেতর ঢোকার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়।’
চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে স্ট্রিমকে বলেন, ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে ডিআইজি আহসান হাবীব বলেন, ‘ওসির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম সানতু জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনাটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চলছে। রাতে থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কারো অতি উৎসাহী ভূমিকা থাকলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।’
অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘আমরা কয়েকটি সম্ভাব্য তারিখ চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে সেই দিনেই ফল প্রকাশ করা হবে।’
২ ঘণ্টা আগেআজ ৭ জুলাই সোমবার বেলা দেড়টার দিকে নাটোর স্টেশন বাজার এলাকার একতার মোড় থেকে সংক্ষিপ্ত পথসভার মাধ্যমে এই পদযাত্রা শুরু হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থান যে নতুন পথ দেখিয়েছে, তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সবাইকেই।
৪ ঘণ্টা আগেএয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরবের সূত্রে জানা যায়, প্রথম হজ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায় গত ২৯ এপ্রিল।
৪ ঘণ্টা আগে