leadT1ad

সিআরপিসি সংশোধন

গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে পরিবারকে

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ২০: ০৩
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি : বাসস

কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানাতে হবে। এমন বিধান রেখে ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) সংশোধন করছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিআরপিসি সংশোধনের এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এসব তথ্য জানান।

আসিফ নজরুল বলেন, এখন থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশ সদস্যের যথাযথ পরিচয়পত্র অবশ্যই থাকতে হবে। নেমপ্লেট থাকতে হবে, আইডি কার্ড সঙ্গে থাকতে হবে ও চাওয়ামাত্রই এসব দেখাতে হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, কাউকে গ্রেপ্তারের পর থানায় আনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তার পরিবারকে জানাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই এর বেশি সময় নেওয়া যাবে না। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বোধ করলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে হবে।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কে গ্রেপ্তার করেছে ও গ্রেপ্তারের পর পরিবারের কার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে—এসব তথ্য লিখিত থাকতে হবে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা পুলিশ সদর দপ্তরে থাকতে হবে।

৫৪ ধারায় পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের সামনে অপরাধ ঘটলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করতে পারবে। অথবা পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে তাঁকেও গ্রেপ্তার করতে পারবে। অনলাইনে বেইলবন্ড ও ডিজিটাল সমনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এই আইন সঠিকভাবে প্রতিপালন করা হলে কাউকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা বা গ্রেপ্তার করার পর অস্বীকার করা কিংবা গুম করা এসব বন্ধে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না। আজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উত্থাপিত এ-সংক্রান্ত চারটি আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ২০১৫ সালে ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয় ও সে অনুযায়ী আইন সংশোধন করা হয়। এবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন আইন ২০১৫-এর ৩২(ক) ধারা, পৌরসভা আইন ২০১৫-এর ২০(ক) ধারা, উপজেলা পরিষদ আইন ২০১৫-এর ১৬(ক) ধারা এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০১৫-এর ১৯(ক) ধারা বিলুপ্ত করার প্রস্তাব আজ উত্থাপন করা হয় এবং উপদেষ্টা পরিষদ তা অনুমোদন করে।

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, এর ফলে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আর কোনো সুযোগ নেই। এখন থেকে আলাদা আলাদা প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। এতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হানাহানি কমে আসবে এবং যোগ্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে জিতে আসতে পারবেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত