leadT1ad

খায়রুল হকের গ্রেপ্তারের পর আবার আলোচনায় ২০১৫ সালের ব্যাংক উপদেষ্টা নিয়োগ

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৯: ০৮
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৯: ০৯
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হককে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাঁকে ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিবির যুগ্ম-কমিশনার নাসিরুল ইসলাম।

এবিএম খায়রুল হকের এই গ্রেপ্তারের খবরে আবার আলোচনায় এসেছে ২০১৫ সালের সেই বিতর্কিত নিয়োগ, যখন তিনি বেসরকারি ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন।

ওই সময়ে তাঁর এ পদে নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল, কারণ তিনি মাত্র পাঁচ বছর আগেই দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর খায়রুল হক বাংলাদেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং পরের বছর ১৭ মে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হন। তিন বছরের জন্য এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।

সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০১৫ সালে তাঁকে ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের উপদেষ্টা হিসেবে চাকরি দেয় এস আলম শিল্প গোষ্ঠী। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে এস আলম এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান থাকায় তিনি সেই চাকরি করতে পারেননি।

তাঁর ওই যোগদানের পেছনে ছিল রাজনৈতিক সমীকরণ ও সুবিধার প্রশ্ন। যদিও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তখন দাবি করেছিল, তাঁকে শুধু আইন উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে এবং কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে ব্যাংকটির সঙ্গে বিভিন্ন বিতর্কিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠতা ও পরে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত তদন্তে ব্যাংকটির নাম উঠে আসায়, ওই নিয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।

এদিকে এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে যেসব মামলার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই সাম্প্রতিক সময়ের। বিশেষ করে তাঁর প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন সময়ের কিছু রায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সংক্রান্ত রায়, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষণা করে।

ডিবি সূত্র জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে বেআইনি রায় প্রদান, জাল রায় তৈরি এবং একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাঁর নাম।

Ad 300x250

সম্পর্কিত