leadT1ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি

১৩ জুলাই: রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২: ৩৫
১৩ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ছবি: তথ্য মন্ত্রণালয়

আজ ১৩ জুলাই। গত বছর এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের অনলাইন ও অফলাইন সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। আজকের দিনেই গণপদযাত্রা করে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা৷

যা ঘটেছিল এই দিনে

সেদিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সে সম্মেলন থেকে গণপদযাত্রার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা৷ রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়টিও তখনই জানানো হয়।

সে সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, আগামীকাল (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে গণপদযাত্রা শুরু হবে। পদযাত্রা শেষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে৷ এই পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেবেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা গণপদযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেবেন।

আগের দিন (১২ জুলাই) শাহবাগ থানায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়৷ এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছিল। একে মিথ্যা মামলা উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি জানান নাহিদ ইসলাম। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে ও মামলা প্রত্যাহার করতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, অজ্ঞাতনামা নয়, দিতে হলে যেন তাঁদের নামেই মামলা দেওয়া হয়৷ শিক্ষার্থীদের হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিনও দেশের বিভিন্ন জেলায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা৷

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের এক দফা দাবি ছিল, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে উল্লেখ করা অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য সীমিত পরিসরে কোটার ব্যবস্থা রেখে সংসদে আইন পাস করে পুরো কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে।

আন্দোলনের বিপক্ষে যত কথা

এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, জনভোগান্তি না ঘটিয়ে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে৷ এ সময় বিএনপিসহ অনেকে এ আন্দোলনে ইন্ধন দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা যেন শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত না করে।

এদিন এক বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাফ জানিয়ে দেন, আপিল বিভাগের রায়ের আগে কোটা পরিবর্ধন-পরিমার্জন নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তা নেই।

বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, তাঁরা কি আন্দোলনজীবী হতে চান, না চাকরিজীবী হতে চান? কোটা সংস্কার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের বিষয় নয় বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামানোর আহ্বান জানান। কোটা বাতিল করলে অনগ্রসররা সমাজের মূলস্রোতে আসতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত