স্ট্রিম প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষকদের সংশ্লিষ্টতা তদন্তে গঠিত স্ট্রাকচারাল কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক শিক্ষক।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন।
এর আগে, আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চলতি বছরের ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তখন এই সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ জানান অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও সব শিক্ষককে প্রতিবাদলিপি পাঠান।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে প্রাথমিক তদন্তে আরও ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তাঁদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। সেই কমিটির সদস্য ছিলেন অধ্যাপক মোজাম্মেল।
স্ট্রাকচারাল কমিটি থেকে পদত্যাগ করে উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে মোজাম্মেল হক বলেছেন, গত বছরের ১৫ জুলাই উপাচার্যের বাসভবন ও এর আগে-পরে ক্যাম্পাসে সংগঠিত সহিংস ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে গঠিত স্ট্রাকচারাল কমিটির আমি একজন সদস্য (ডিন হিসেবে)।
‘গত ১৭ আগস্ট কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে আসা এক শিক্ষার্থী আমাদের উপস্থিতিতে আপনাকে (উপাচার্য) জানান যে, তিনি কমিটির উপস্থিত সদস্যদের সামনে সাক্ষ্য দিতে অনাগ্রহী। কারণ কমিটিতে এমন একজন সদস্য আছেন (আমাকে ইঙ্গিত করে) যিনি উল্লিখিত সহিংস ঘটনার নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গৃহীত পদক্ষেপ শিক্ষকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শিক্ষক সমিতির নেতাদের ইতোমধ্যে অনুরোধ করেছেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীর এই মনোভাব প্রকাশের পর আপনি কমিটির কয়েকজন সদস্যকে (আমিসহ) পাশের কক্ষে পাঠিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীর সাক্ষ্য নেন।’
চিঠিতে অধ্যাপক মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘আপনার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগে কমিটির একজন সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদের নির্বাচিত ডিন হিসেবে আমি যথেষ্ট বিব্রতবোধ করেছি। আপনার বিচারবোধে বিচলিত বোধ করেছি। এমন পরিস্থিতিতে সংবেদনশীল এই তদন্ত কমিটিতে আপনার সঙ্গে কাজ করতে আমি নিরাপদ বোধ করছি না। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে ভবিষ্যতেও আপনি শিক্ষকদের সম্মানহানি করবেন বলে আমি আশঙ্কা করি।’
তিনি এ-ও বলেছেন, ‘এ ধরনের অসম্মানজনক পরিস্থিতি এড়াতে আমি স্ট্রাকচারাল কমিটিতে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী নই। যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি ও যে ধরনের দ্রুততার সঙ্গে শিক্ষক-সংশ্লিষ্ট বিষয়টির তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়া কঠিন বলে আমি মনে করি। কাজের পদ্ধতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনি সন্তুষ্টি বিধানের রাস্তা গ্রহণ করছেন বলে ভাববার যথেষ্ট কারণ আমার রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষকদের সংশ্লিষ্টতা তদন্তে গঠিত স্ট্রাকচারাল কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক শিক্ষক।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন।
এর আগে, আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চলতি বছরের ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তখন এই সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ জানান অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও সব শিক্ষককে প্রতিবাদলিপি পাঠান।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে প্রাথমিক তদন্তে আরও ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তাঁদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। সেই কমিটির সদস্য ছিলেন অধ্যাপক মোজাম্মেল।
স্ট্রাকচারাল কমিটি থেকে পদত্যাগ করে উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে মোজাম্মেল হক বলেছেন, গত বছরের ১৫ জুলাই উপাচার্যের বাসভবন ও এর আগে-পরে ক্যাম্পাসে সংগঠিত সহিংস ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে গঠিত স্ট্রাকচারাল কমিটির আমি একজন সদস্য (ডিন হিসেবে)।
‘গত ১৭ আগস্ট কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে আসা এক শিক্ষার্থী আমাদের উপস্থিতিতে আপনাকে (উপাচার্য) জানান যে, তিনি কমিটির উপস্থিত সদস্যদের সামনে সাক্ষ্য দিতে অনাগ্রহী। কারণ কমিটিতে এমন একজন সদস্য আছেন (আমাকে ইঙ্গিত করে) যিনি উল্লিখিত সহিংস ঘটনার নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গৃহীত পদক্ষেপ শিক্ষকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শিক্ষক সমিতির নেতাদের ইতোমধ্যে অনুরোধ করেছেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীর এই মনোভাব প্রকাশের পর আপনি কমিটির কয়েকজন সদস্যকে (আমিসহ) পাশের কক্ষে পাঠিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীর সাক্ষ্য নেন।’
চিঠিতে অধ্যাপক মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘আপনার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগে কমিটির একজন সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদের নির্বাচিত ডিন হিসেবে আমি যথেষ্ট বিব্রতবোধ করেছি। আপনার বিচারবোধে বিচলিত বোধ করেছি। এমন পরিস্থিতিতে সংবেদনশীল এই তদন্ত কমিটিতে আপনার সঙ্গে কাজ করতে আমি নিরাপদ বোধ করছি না। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে ভবিষ্যতেও আপনি শিক্ষকদের সম্মানহানি করবেন বলে আমি আশঙ্কা করি।’
তিনি এ-ও বলেছেন, ‘এ ধরনের অসম্মানজনক পরিস্থিতি এড়াতে আমি স্ট্রাকচারাল কমিটিতে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী নই। যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি ও যে ধরনের দ্রুততার সঙ্গে শিক্ষক-সংশ্লিষ্ট বিষয়টির তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়া কঠিন বলে আমি মনে করি। কাজের পদ্ধতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনি সন্তুষ্টি বিধানের রাস্তা গ্রহণ করছেন বলে ভাববার যথেষ্ট কারণ আমার রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
‘আমিও এ দেশের নাগরিক, অন্য সবার মতো স্বাভাবিক জীবনে বাঁচতে চাই। কেন আমি বিচার পাব না?’, বলতে বলতে চোখ মুছছিলেন পরী। প্রায় দুবছর ধরে অনিরাপদ ও বিপন্নভাবে বাঁচতে হচ্ছে তাঁকে।
১ ঘণ্টা আগেষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খানম মানবতা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে এ জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
১ ঘণ্টা আগে‘সংবেদনশীল’ তথ্য বিনা অনুমতিতে প্রকাশের অভিযোগে করা মামলায় কনস্টেবল অমি দাশের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২ ঘণ্টা আগে