leadT1ad

গত বছরের ৯ জুলাই: একদিন বিরতি দিয়ে ফের বাংলা ব্লকেডের ডাক

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৫৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

আজ ৯ জুলাই। গত বছরের এই দিনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ‘গণসংযোগ’ কর্মসূচি চলছিল। কর্মসূচি শেষে সারা দেশে অবরোধের ডাক আসে।

বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা

৯ জুলাই সারাদিন গণসংযোগ শেষে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এখানে পরদিন বুধবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ ঘোষণা করেন নাহিদ ইসলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক বলেন, বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে এ কর্মসূচি চলবে। সড়কপথ ও রেলপথ বাংলা ব্লকেডের আওতাভুক্ত থাকবে। বাংলা ব্লকেডের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায়। সকাল ১০টায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জমায়েত হব। তারপর ব্লকেড কর্মসূচি পালনের জন্য শাহবাগ মোড়ে যাব।

এ সময় নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে নামেনি। সরকার নিশ্চুপ থাকার কারণে এই ধরনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছে আন্দোলনকারীরা। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস পাই নাই বলেই আমাদের এই আন্দোলন।’

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা যৌক্তিক।

কোটা পুনর্বহাল বিষয়ক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দুইজন শিক্ষার্থী রিট করেন। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা জানান, রিটকারীদের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

এছাড়াও দিনটিতে দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আওয়ামী লীগের কে কী বলছেন

গত বছর এই তারিখে এক সভায় যোগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্তব্য করেন, ‘কোটা ইস্যুতে সরকারের সিদ্ধান্তের কেনো ব্যাপার নেই। এ ইস্যু এখন সর্বোচ্চ আদালতের কাছে। রাজপথে আন্দোলন করে এটার নিরসন হবে না।’ এ সময় আদালত অবমাননার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেন তিনি।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে উল্লেখ থাকা অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য সীমিত পরিসরে কোটার ব্যবস্থা রেখে সংসদে আইন পাস করে পুরো কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত