leadT1ad

গত বছরের ১২ জুলাই: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ

এ দিন বিকেল পাঁচটার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নানা স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর গত দিনের হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১১: ৫২
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীরা। ছবি: তথ্য অধিদপ্তর থেকে

আজ ১২ জুলাই। গত বছর দিনটি ছিল শুক্রবার। এদিন সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগের দিন সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। তার প্রতিবাদেই এ কর্মসূচি ডেকেছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে মাঠে নামা শিক্ষার্থীরা।

যা ঘটেছিল সারা দিন

বিকেল পাঁচটার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নানা স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর গত দিনের হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।

সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামীকাল দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলায় অফলাইন ও অনলাইনে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কাল সন্ধ্যা ছয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি সরকারকে আমলে নিতে হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একদফা দাবি ছিল সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে উল্লেখ করা অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য সীমিত পরিসরে কোটার ব্যবস্থা রেখে সংসদে আইন পাস করে পুরো কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে।

এক ঘণ্টা অবরোধের পর সেদিন শাহবাগ ত্যাগ করেন আন্দোলনকারীরা।

এই তারিখে শাহবাগ ছাড়াও দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। চট্টগ্রামে লংমার্চ আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সিলেটে মশাল মিছিল করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজশাহীতে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করেন।

তবে মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে কোটা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় ছাত্রলীগ।

আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে যত কথা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এদিন এক বিবৃতিতে বলেন, আন্দোলনরতদের ওপর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ভর করেছে। এই আন্দোলনের জন্য জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে দোষারোপ করে বলেন, কোনো আন্দোলন হলেই তারা সেটির ওপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চায়।

তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আন্দোলনের বিষয়ে বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা ষড়যন্ত্র করে শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, সেই প্রেতাত্মারা যে এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নয়, তা আমি অস্বীকার করতে পারব না। সরকারের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা করা, সুবিধা-অসুবিধা দেখা। এটি কেউ বাধাগ্রস্ত করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, বাংলাদেশকে সরকার মেধাবী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না। সরকারের পক্ষে মেধাবীরা সুখকর না-ও হতে পারে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত