leadT1ad

ডাকসু ভিপিকে ‘চড় দেওয়া দরকার’: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসিবউদ্দীন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৪২
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ডাকসু ভিপি আবু সাদিক কায়েমের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে ‘চড় দেওয়া দরকার’ বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন। স্যাটায়ার পেজের বিরুদ্ধে মামলার জেরে তিনি বলেন, সাদিক কায়েমের ভিপি হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অসম্মানজনক।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্যাটায়ার, মিম ও কার্টুন—মতপ্রকাশ নাকি মর্যাদাহানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক কোয়ালিশন ও স্যাটায়ারধর্মী ফেসবুক পেজ ‘ইয়ার্কি’ যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

হাসিবউদ্দীন বলেন, ‘ডাকসু ভিপি বোকার মতো কিছু করছেন, ব্যাপারটা এতটুকু না। তাঁকে তো চড়ানো দরকার। তিনি ভিপি হওয়ার সাহস পান কীভাবে? এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অসম্মান।’

দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে হাসিবউদ্দীন বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র প্রথমবারের মতো ধর্মীয় রাজনীতির আবহে চলে যাবে। তখন ‘মববাজি’ই আইন হয়ে দাঁড়াবে। ঠিক-বেঠিকের বিচার করবে মব, রাষ্ট্র তখন বাধা দেবে না।

সভায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, কার্টুন বা মিম বানানোর কারণে মানুষকে জেলে দেওয়া বা মামলা করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘যে স্যাটায়ার আপনার ভালো লাগে না, তা এড়িয়ে চলুন। মামলা কোনো সমাধান নয়। যারা মামলা দেয়, তাদের আমরা প্রতিরোধ করব।’

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ক্ষমতাবানদের চিন্তার সঙ্গে না মিললেই দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার এই ‘সিলেক্টিভ’ প্রয়োগ সমাজের জন্য বিপজ্জনক। প্রশ্ন করার জায়গা বন্ধ করে দিলে শুরুতেই গলদ তৈরি হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর অনলাইনে অপপ্রচার ও সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে ৯টি ফেসবুক পেজ ও ৩টি আইডির বিরুদ্ধে মামলা করেন ডাকসু ভিপি। তবে সমালোচনার মুখে পরে এজাহার থেকে ‘ইয়ার্কি’র নাম প্রত্যাহার করা হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত