leadT1ad

সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্ত বদল, ঢাবিতে অনার্স-মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা চলবে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম

ভূমিকম্পের ঝুঁকির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের সমালোচনার মুখে পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে চলমান অনার্স ৪র্থ বর্ষ (৮ম সেমিস্টার) এবং মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষাগুলো শর্তসাপেক্ষে চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের মতামতের ভিত্তিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং সকল পরীক্ষার্থীর সম্মতিক্রমে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ/ইনস্টিটিউটে শুরু হওয়া অনার্স ৪র্থ বর্ষ/৮ম সেমিস্টার এবং মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষাসমূহ চলমান রাখতে পারবে।’

সম্প্রতি কয়েক দফায় ভূমিকম্পের পর গত ২২ নভেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাবি প্রশাসন। আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সশরীরে কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এর পরপরই শীতকালীন ছুটি থাকায় সেশনজটের আশঙ্কা তৈরি হয়। পরবর্তীতে প্রশাসন অনলাইনে ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

এই অচলাবস্থা নিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন করে ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’র ঢাবি শাখা। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি তাহমিদ মুদাসসির চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের প্রক্রিয়াকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখছি। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি মনে করেন এখানে তাদের বলার কিছু নাই, তাহলে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।’

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বিবৃতি দেয় ‘বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী’র ঢাবি শাখা। বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করে, ‘এই ক্রান্তিকালীন ছুটি ও আসন্ন শীতকালীন অবকাশ মিলিয়ে শিক্ষাবর্ষ বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলমান পরীক্ষা স্থগিত থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেশনজটের উদ্বেগ তীব্র হয়েছে।’

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ফেসবুকে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে লেখেন, ‘এই বিষয়ে (ক্যাম্পাস বন্ধের) শিক্ষক এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের স্বার্থটা এক হয়ে গেছে। ছাত্র প্রতিনিধিরাও সামনে নির্বাচন উপলক্ষে একটু ব্যস্ততার মধ্যে আছেন।’

ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখেই শেষ পর্যন্ত অনার্স-মাস্টার্সের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত