স্ট্রিম সংবাদদাতা
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সায়ান ইউসুফ। ১৪ বছর বয়সী এই কিশোরের বাবা এ এফ এম ইউসুফ ও মা শামীমা শাম্মী একই কলেজের রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক। মা-বাবা স্বপ্ন দেখতেন, ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার্থে ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবেন। একসময় বিমানে করে আমেরিকায় পাঠিয়ে উচ্চশিক্ষার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) মুহূর্তেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে এক বিমান দুর্ঘটনায়।
একমাত্র ছেলেকে অকালে হারিয়ে এখন শোকে বিহ্বল ইউসুফ-শামীমা দম্পতি।
গতকাল দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর। এতে মারাত্মক আহত হন সায়ান। তাঁকে রাজধানীর জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মারা যায় সায়ান।
সায়ানের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামে। ঢাকায় সে মা-বাবার সঙ্গে উত্তরা ১০ নাম্বার সেক্টরে ভাড়া বাড়িতে থাকত।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে সায়ানদের বশিকপুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। বাড়ির উঠোনে একে একে এসে জড়ো হচ্ছেন প্রতিবেশীরা। সবার মন ভারাক্রান্ত। কেউই তার এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।
দুপুর পৌনে ১ টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে সায়ানের মরদেহ বশিকপুরের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। বিকেল ৩টায় বশিকপুরের গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে সায়ানের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাদা মাকছুদ ডাক্তারের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
সায়ানের বাবা এ এফ এম ইউসুফ কান্নজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে খুবই ব্রিলিয়ান্ট ছিল। এই দেশে জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা এই দেশে আর থাকব না। এই দেশের পলিটিশিয়ানরা পরিবেশকে পলিউটেড করে ফেলেছে।’
সায়ানের বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রতিবেশি মিজানুর রহমান বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আমার বন্ধুর স্বপ্ন ছিল অনেক বড়। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে সায়ানকে আমেরিকায় পাঠানোর স্বপ্ন ছিল পরিবারের। সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।’
প্রসঙ্গত, একই ঘটনায় সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন সোনাপুর গ্রামের রহিমবক্স হাজী বাড়ির আব্দুস সামাদের ছেলে আফনান ফায়াজও মারা যায়। তাকে সকালে ঢাকায় দাফন করা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। আফনানও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার মরদেহ ঢাকাতেই দাফন করা হয় বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত দেড় শতাধিক মানুষ।
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সায়ান ইউসুফ। ১৪ বছর বয়সী এই কিশোরের বাবা এ এফ এম ইউসুফ ও মা শামীমা শাম্মী একই কলেজের রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক। মা-বাবা স্বপ্ন দেখতেন, ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার্থে ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবেন। একসময় বিমানে করে আমেরিকায় পাঠিয়ে উচ্চশিক্ষার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) মুহূর্তেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে এক বিমান দুর্ঘটনায়।
একমাত্র ছেলেকে অকালে হারিয়ে এখন শোকে বিহ্বল ইউসুফ-শামীমা দম্পতি।
গতকাল দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর। এতে মারাত্মক আহত হন সায়ান। তাঁকে রাজধানীর জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মারা যায় সায়ান।
সায়ানের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামে। ঢাকায় সে মা-বাবার সঙ্গে উত্তরা ১০ নাম্বার সেক্টরে ভাড়া বাড়িতে থাকত।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে সায়ানদের বশিকপুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। বাড়ির উঠোনে একে একে এসে জড়ো হচ্ছেন প্রতিবেশীরা। সবার মন ভারাক্রান্ত। কেউই তার এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।
দুপুর পৌনে ১ টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে সায়ানের মরদেহ বশিকপুরের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। বিকেল ৩টায় বশিকপুরের গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে সায়ানের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাদা মাকছুদ ডাক্তারের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
সায়ানের বাবা এ এফ এম ইউসুফ কান্নজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে খুবই ব্রিলিয়ান্ট ছিল। এই দেশে জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা এই দেশে আর থাকব না। এই দেশের পলিটিশিয়ানরা পরিবেশকে পলিউটেড করে ফেলেছে।’
সায়ানের বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রতিবেশি মিজানুর রহমান বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আমার বন্ধুর স্বপ্ন ছিল অনেক বড়। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে সায়ানকে আমেরিকায় পাঠানোর স্বপ্ন ছিল পরিবারের। সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।’
প্রসঙ্গত, একই ঘটনায় সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন সোনাপুর গ্রামের রহিমবক্স হাজী বাড়ির আব্দুস সামাদের ছেলে আফনান ফায়াজও মারা যায়। তাকে সকালে ঢাকায় দাফন করা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। আফনানও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার মরদেহ ঢাকাতেই দাফন করা হয় বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত দেড় শতাধিক মানুষ।
মাইলস্টোন কলেজে সম্প্রতি বিমান বিধ্বস্ত হওয়া এবং মঙ্গলবারে সচিবালয়ে হামলার বিষয়গুলো বৈঠকে উঠে আসে। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে মতবিনিময় করেন নেতারা।
৪২ মিনিট আগেচারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ৯টায় বৈঠক শুরু হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
৩ ঘণ্টা আগেমাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর সারা দিন কালক্ষেপণ করে রাত তিনটায় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয় এলাকায় জড়ো হন হাজারো শিক্ষার্থী।
৪ ঘণ্টা আগে