leadT1ad

ইসিতে দলীয় হিসাব

এক বছরে বিএনপির আয় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা, ব্যয় প্রায় ৫ কোটি

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৪: ২৩
ইসিতে দলের হিসাব জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে কথা বলছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ইউএনবির সৌজন্যে

২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বিএনপি। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ হিসাব জমা দেন।

দলটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে তাদের আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। ফলে দলটির তহবিলে বর্তমানে সঞ্চয় রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দলগুলোকে আগের বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দিতে হয়। টানা তিন বছর হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫১টি। তবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ৫০টি দলকে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির এই নেতা জানান, দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রি, ব্যাংক সুদ এবং এককালীন অনুদান থেকে এ আয় হয়েছে। ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত ও দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, দলীয় কর্মসূচি, লিফলেট ও পোস্টার ছাপানোর পেছনে।

এ সময় রিজভী বলেন, ‘গত ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান না থেকে সরকারের অনুগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার পদলেহন প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছিল।’

রিজভী বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছিল—যেমন স্বাধীন বিচার বিভাগ, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও স্বাধীন গণমাধ্যম—তা সরকার একে একে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের কণ্ঠকে জাগিয়ে রাখতে হয়েছে। যার জন্য আমাদের নেতা-কর্মীদের নানান নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও ইনক্লুসিভ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় কাজগুলো করা দরকার, সেই কাজগুলো নির্বাচন কমিশন করবে। এবং এখন পর্যন্ত সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের যে স্বাধীনতা আছে, সেই স্বাধীন বিধানগুলো প্রয়োগ করে নির্বাচন বানচাল অথবা নির্বাচনকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সাহসী ভূমিকা রাখবে বলে বিএনপি বিশ্বাস করে।’

এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ততটা উন্নত হয়নি বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী এখনো অনেক কিছু সম্ভব হয়ে ওঠেনি। গণতন্ত্রের অব্যাহত যাত্রার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যে গুরুদায়িত্ব আছে, সেটা তারা পালন করবে। সব রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গড়ে উঠবে।’

Ad 300x250

মসজিদ নিয়ে সংঘাতে মৃত্যু, এলাকায় ১৪৪ ধারা

ইসির গণমাধ্যমকর্মী নীতিমালা প্রত্যাখ্যান আরএফইডির, সংশোধনের আহ্বান

শাফিন আহমেদ যেভাবে মাইলসে যোগ দিয়েছিলেন

সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

‘যুদ্ধবিরতিতে সম্মত’—ট্রাম্প দাবি করলেও সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

সম্পর্কিত