leadT1ad

বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বৈমানিক: আইএসপিআর

সহকারী পরিচালক আয়শা ছিদ্দিকা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ১৯: ৪২
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, ১৯: ৫৪
আইএসপিআর

দুর্ঘটনা মোকাবিলা এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বৈমানিক ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট মোঃ তৌকির ইসলাম। আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়েছে।

সহকারী পরিচালক আয়শা ছিদ্দিকা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।

আহত সকলকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় অবস্থিত বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের পরে যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে বিমানটি। পরে এটি মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজের দোতালা একটি ভবনে আঘাত হানে। এই দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনের জন্য ইতিমধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত। তারা হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে।

দুর্ঘটনাস্থলে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও উদ্ধারকারী দল উপস্থিত রয়েছেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সামরিক বাহিনী ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব এবং ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত