leadT1ad

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত /আমার ছেলের খোঁজ নেই—কাঁদছেন জিহানের মা

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ২১: ৪৭
সোনিয়া বেগম এসেছেন তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করতে। উত্তরা আধুুনিক হাসপাতালের সামনে। স্ট্রিম ছবি

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার মা সোনিয়া বেগম। তাদের বাড়ি উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে। তাঁর আরেক সন্তান আফরিনাকে খুঁজে পেয়ছেন তিনি। আফরিনা সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আফরিনাকে তিনি উত্তরার আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খুঁজে পেয়েছেন।

আজ সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়িতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন সোনিয়া বেগম।

আমরা ক্লাস করছিলাম। হঠাৎ অনেক জোরে আওয়াজ হয়। জানালা দিয়ে দেখি বিশাল আগুন আর ধোঁয়া। সবাই ভয় পেয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। আমাদের ইংলিশ ভার্সন বিল্ডিংয়ের দিকেই নাকি বিমানটা পড়েছে। আরাফ, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র, মাইলস্টোন কলেজ

স্কুলের গেটের সামনে সোনিয়া বেগমকে কাঁদতে দেখা যায়। বারবার চেষ্টা করছেন ভেতরে ঢোকার, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তাঁকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

স্ট্রিমকে বিকাল চারটায় তিনি বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই ছেলেকে ফোন করছি, তার শ্রেণিশিক্ষকের নম্বরেও কল দিয়েছি, কিন্তু কেউ ধরছে না। আমি কিছু জানি না, কেউ কিছু বলছে না। কী হয়েছে আমার ছেলের? বেঁচে আছে কিনা, জানিও না। অন্তত একটা ফোন রিসিভ করলে টেনশনটা একটু কমত।’

এই শব্দ, এই আগুন, এই ধোঁয়া—সব ছাপিয়ে শুধু একটা মায়ের কান্না আজ ভেসে আসছে বিধ্বস্ত উত্তরার বাতাসে: ‘আমার ছেলেটা কোথায়, ও বেঁচে আছে তো?’

সোনিয়া জানান, তিনি আধুনিক মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে বার্ন ইউনিট পর্যন্ত খুঁজেছেন, কিন্তু কোথাও ছেলের সন্ধান পাননি। আর বাড়িতে আহত মেয়ে আফরিনাকে একা রেখে এসেছেন বলে তিনি চিন্তিত। ‘আফরিনা ছোট, ওর গায়ে আগুনে পুড়েছে একটু, কিন্তু ওকে ফেলে রেখে ছেলের খোঁজে বের হতে হয়েছে,’ তিনি বলছিলেন, আর চোখ মুছছিলেন আঁচল দিয়ে।

ঘটনাস্থলে দগ্ধদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজ প্রাঙ্গণে সাধারণ কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সাড়ে চারটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, দিয়াবাড়ির গোলচত্বর থেকে কলেজমুখী রাস্তায় হাজারো মানুষের ভিড়। অভিভাবক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা—সবাই উৎকণ্ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন। সেনাবাহিনী, কলেজের কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জনসাধারণকে সরিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।

পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আরাফ। আরাফ বলে, ‘আমরা ক্লাস করছিলাম। হঠাৎ অনেক জোরে আওয়াজ হয়। জানালা দিয়ে দেখি বিশাল আগুন আর ধোঁয়া। সবাই ভয় পেয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। আমাদের ইংলিশ ভার্সন বিল্ডিংয়ের দিকেই নাকি বিমানটা পড়েছে।’

এই শব্দ, এই আগুন, এই ধোঁয়া—সব ছাপিয়ে শুধু একটা মায়ের কান্না আজ ভেসে আসছে বিধ্বস্ত উত্তরার বাতাসে: ‘আমার ছেলেটা কোথায়, ও বেঁচে আছে তো?’

Ad 300x250

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণ দিলেন মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী

মাইলস্টোনের দুর্ঘটনায় পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত করেছে এনসিপি

ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোকবার্তা

সাগরিকার চার গোলে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রের বর্ণনায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার বিবরণ

সম্পর্কিত