স্ট্রিম ডেস্ক
গত তিন মাসে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে যৌতুক-সম্পর্কিত মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এক নারীকে শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম ইস্ত্রি চেপে ধরে খুন করা হয়। নিহত নারীর পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য তাঁকে নিয়মিত নির্যাতন করা হতো।
উত্তরপ্রদেশেরই পিলিভিতে স্বামীর বাড়ির লাগাতার যৌতুকের দাবি পূরণ করতে পারেননি বলে আরেক নারীকে পুড়িয়ে মারা হয়। চণ্ডীগড়ে যৌতুক নিয়ে হয়রানির কারণে এক নববধূ আত্মহত্যা করেন। তামিলনাড়ুর পোনেরি এলাকায় বিয়ের মাত্র চার দিনের মাথায় যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির মানুষদের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আরেক নববধূ আত্মহত্যা করেন।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি বছর গড়ে ৭ হাজার যৌতুক-সংক্রান্ত মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
এই তথ্যগুলো একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যৌতুক-সংক্রান্ত মৃত্যুর মামলাগুলোর তদন্ত অত্যন্ত ধীরগতির ও দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ঘটনা হাতেগোনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, প্রতি বছর ৭ হাজারটি ঘটনার মধ্যে মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। বাকি ঘটনাগুলোর তদন্ত বিভিন্ন ধাপে আটকে থাকে, কিংবা নানান অজুহাতে মামলা বাতিল হয়ে যায়। ঘটনা সত্য কিন্তু যথেষ্ট প্রমাণ নেই, মিথ্যা মামলা, অথবা ভুল বোঝাবুঝি বা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ—এসব আপত্তি তুলে অনেক মামলাই খারিজ করে দেওয়া হয়। অনেক মামলাই ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তদন্তেই আটকে থাকে। ২০২২ সালের শেষে প্রায় ৩ হাজারটি তদন্তাধীন মামলার মধ্যে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা মামলাই ছিল ৬৭ শতাংশ।
চার্জশিট দাখিলেও বড় ধরনের বিলম্ব করা হয়। ২০২২ সালে যে ৬ হাজারটির বেশি মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, তার ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই তদন্তে দুই মাসেরও বেশি সময় লেগেছে।
তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল হয়। মামলাগুলো আদালতে পৌঁছালেও খুব কম সংখ্যক মামলায় শাস্তি প্রদান করা হয়। প্রতি বছর যৌতুক-সম্পর্কিত মৃত্যুতে গড়ে ৬ হাজার ৫০০টি মামলা আদালতে ওঠে। এর মধ্যে মাত্র ১০০টির মতো মামলায় সাজা হয়। বাকি ৯০ শতাংশের বেশি মামলা আদালতের নানা ধাপে বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকে। বেশিরভাগ মামলাই আদালতের দীর্ঘসূত্রতা, আপস-মীমাংসা, মামলা প্রত্যাহার বা দোষীদের খালাস পাওয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। কিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় দোষীরা বেকসুর খালাস পেয়ে যায়।
ন্যাশনাল কমিশন ফর ওম্যানের (এনসিডব্লিউ) প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে গত এক বছরে যৌতুকের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৪৫০ জন নারী। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ।
ন্যাশনাল কমিশন ফর ওম্যান মনে করছে, প্রশাসনের গা-ছাড়া মনোভাব, বিচারপ্রক্রিয়ার ধীরগতি ও সামাজিক অসচেতনতা—সব মিলিয়ে যৌতুকবিরোধী প্রচেষ্টাগুলো এখনো কার্যকর হয়ে ওঠেনি।
বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৬১ সাল থেকে ভারতে যৌতুক বেআইনি হলেও দেশটির মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ বিয়েতেই যৌতুক দেওয়া-নেওয়া হয়েছে।
গত তিন মাসে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে যৌতুক-সম্পর্কিত মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এক নারীকে শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম ইস্ত্রি চেপে ধরে খুন করা হয়। নিহত নারীর পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য তাঁকে নিয়মিত নির্যাতন করা হতো।
উত্তরপ্রদেশেরই পিলিভিতে স্বামীর বাড়ির লাগাতার যৌতুকের দাবি পূরণ করতে পারেননি বলে আরেক নারীকে পুড়িয়ে মারা হয়। চণ্ডীগড়ে যৌতুক নিয়ে হয়রানির কারণে এক নববধূ আত্মহত্যা করেন। তামিলনাড়ুর পোনেরি এলাকায় বিয়ের মাত্র চার দিনের মাথায় যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির মানুষদের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আরেক নববধূ আত্মহত্যা করেন।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি বছর গড়ে ৭ হাজার যৌতুক-সংক্রান্ত মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
এই তথ্যগুলো একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যৌতুক-সংক্রান্ত মৃত্যুর মামলাগুলোর তদন্ত অত্যন্ত ধীরগতির ও দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ঘটনা হাতেগোনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, প্রতি বছর ৭ হাজারটি ঘটনার মধ্যে মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। বাকি ঘটনাগুলোর তদন্ত বিভিন্ন ধাপে আটকে থাকে, কিংবা নানান অজুহাতে মামলা বাতিল হয়ে যায়। ঘটনা সত্য কিন্তু যথেষ্ট প্রমাণ নেই, মিথ্যা মামলা, অথবা ভুল বোঝাবুঝি বা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ—এসব আপত্তি তুলে অনেক মামলাই খারিজ করে দেওয়া হয়। অনেক মামলাই ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তদন্তেই আটকে থাকে। ২০২২ সালের শেষে প্রায় ৩ হাজারটি তদন্তাধীন মামলার মধ্যে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা মামলাই ছিল ৬৭ শতাংশ।
চার্জশিট দাখিলেও বড় ধরনের বিলম্ব করা হয়। ২০২২ সালে যে ৬ হাজারটির বেশি মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, তার ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই তদন্তে দুই মাসেরও বেশি সময় লেগেছে।
তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল হয়। মামলাগুলো আদালতে পৌঁছালেও খুব কম সংখ্যক মামলায় শাস্তি প্রদান করা হয়। প্রতি বছর যৌতুক-সম্পর্কিত মৃত্যুতে গড়ে ৬ হাজার ৫০০টি মামলা আদালতে ওঠে। এর মধ্যে মাত্র ১০০টির মতো মামলায় সাজা হয়। বাকি ৯০ শতাংশের বেশি মামলা আদালতের নানা ধাপে বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকে। বেশিরভাগ মামলাই আদালতের দীর্ঘসূত্রতা, আপস-মীমাংসা, মামলা প্রত্যাহার বা দোষীদের খালাস পাওয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। কিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় দোষীরা বেকসুর খালাস পেয়ে যায়।
ন্যাশনাল কমিশন ফর ওম্যানের (এনসিডব্লিউ) প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে গত এক বছরে যৌতুকের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৪৫০ জন নারী। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ।
ন্যাশনাল কমিশন ফর ওম্যান মনে করছে, প্রশাসনের গা-ছাড়া মনোভাব, বিচারপ্রক্রিয়ার ধীরগতি ও সামাজিক অসচেতনতা—সব মিলিয়ে যৌতুকবিরোধী প্রচেষ্টাগুলো এখনো কার্যকর হয়ে ওঠেনি।
বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৬১ সাল থেকে ভারতে যৌতুক বেআইনি হলেও দেশটির মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ বিয়েতেই যৌতুক দেওয়া-নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয় এবং দেশটি সাধারণত এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকে। কিন্তু এবার দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণ রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
১ দিন আগেশনিবারের হামলায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত জিএইচএফের একটি ত্রাণকেন্দ্রের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে।
১ দিন আগেউচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা পাচ্ছেন না ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য ওয়েবসাইটে বারবার লগইন করেও ভিসার সাক্ষাৎকারের তারিখ পাচ্ছেন না বেশির ভাগ শিক্ষার্থী।
২ দিন আগেগত এক সপ্তাহে সুইদা অঞ্চলে দ্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর ভেতর জাতিগত সংঘর্ষ এবং সিরিয়া ও ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শতাধিক প্রাণহানি ঘটিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
২ দিন আগে