leadT1ad

হঠাৎ বাংলাদেশে প্রতিবেশী তিন রাষ্ট্রের প্রভাবশালী ইসলামপন্থী নেতারা

তিন দেশের এই ধর্মীয়-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য, প্রভাবশালী ধর্মীয় বক্তা এবং বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। তাঁরা অরাজনৈতিক সফরে ঢাকা এসেছেন বলা হলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।

ছবি কোলাজ। স্ট্রিম গ্রাফিক

ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ধর্মীয় বক্তা এবং বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতা এখন বাংলাদেশে। তাঁরা এসেছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশে যোগ দিতে। এমন সময়ে তাঁদের আগমন ঘটেছে, যখন বাংলাদেশের রাজনীতি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতির মাঠে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে ইসলামি দলগুলোও। এমন পরিস্থিতি তাঁদের সফর জন্ম দিয়েছে নতুন আলোচনার।

ঢাকায় ইতিমধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোর যে নেতারা অবস্থান করছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মাওলানা ফজলুর রহমান, ওই সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল গফুর হায়দরি। সঙ্গে আছেন মাওলানা ফজলুর রহমানের ছেলে মাওলানা আসাদ মাহমুদসহ পাকিস্তান জমিয়তের আরও দুজন নেতা। আসাদ মাহমুদ আবার ছিলেন পাকিস্তানের যোগাযোগমন্ত্রী।

এর বাইরে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির মারকাযু নাদিমুল কুরআন মাদ্রাসার পরিচালক ও ধর্মীয় বক্তা মাওলানা সাইয়েদ ফয়সাল নাদিম শাহ, পাকিস্তানের বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা হানিফ জালন্দরি, ইউসুফ বিন্নুরি টাউন মাদ্রাসার সহপরিচালক ড. আহমাদ ইউসুফ বিন্নুরি, দারুল উলুম করাচির উপ-উপাচার্য মাওলানা যুবায়ের উসমানি, পাঞ্জাবের সারগোদার মারকাজ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রধান মাওলানা ইলিয়াছ গুম্মান প্রমুখও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশে এই সময়ে আরও রয়েছেন ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’ ভারতের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা সায়্যিদ মাহমুদ মাদানি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেপালের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মাওলানা খালেদ সিদ্দিকি, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার পরিচালক বা মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানি, মাওলানা সাইয়েদ মওদুদ আসআদ মাদানি।

গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার পরে এমিরেটসের একটি বিমানে ঢাকায় পৌঁছান জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুর রব ইউসুফী ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীসহ জমিয়তের শীর্ষ নেতারা।

অতিথিরা আলোচিত

বাংলাদেশে থাকা এই ইসলামপন্থী নেতাদের প্রায় সবাই রাজনীতি ও ধর্মীয় অঙ্গনে সুপরিচিত। যদিও এর মধ্যে দুয়েকজনের রাজনৈতিক সক্রিয়তার ব্যাপারে নানারকম বিতর্ক রয়েছে। গত বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

মাওলানা ফজলুর রহমানের ছবি যুক্ত করে সায়ের তাঁর পোস্টে লিখেছেন—‘ভুট্টোকে ফেলে দিয়ে জিয়াউল হককে ক্ষমতায় আনার নেপথ‍্যের অন‍্যতম কারিগর ছিলেন মুফতি মাহমুদ— মার্কিন ক্রীড়নক আবার মুফতি মাহমুদের ছেলে ফজলু আরেক ক্রীড়নক ইমরান খানকে ফেলেছে পাক সেনাবাহিনীর হয়ে। সেই মাওলানা ফজলু বর্তমান দোদুল্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঢাকায় উপস্থিত হয়েছেন!’

পোস্টে মন্তব্যের ঘরে জুলকারনাইন সায়ের বিভিন্ন সংবাদ ও গবেষণাপত্রের লিংক যুক্ত করে দিয়েছেন যেখানে মাওলানা ফজলুর রহমানের ঢাকায় আগমন ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পতনের নেপথ্যের কুশীলবদের ব্যাপারে তথ্য রয়েছে।

পাকিস্তান থেকে আসা মাওলানা ইলিয়াস গুম্মানকে নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। পাঞ্জাবের সরগোদার মারকাজ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রধান ইলিয়াস গুম্মান ২০০৫ সালে সরগোদার বিভাগীয় কমিশনার সৈয়দ তাজামুল আব্বাস হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। পরের বছর শিয়া আলেম বশির হুসেন বুখারীর হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়।

সাত দিনের সফরে ফজলুর রহমান

বাংলাদেশে বর্তমানে ঘোলাটে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই অবস্থায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রতিবেশী দেশগুলোর শীর্ষ ও প্রভাবশালী নেতাদের ঢাকা সফরকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও জমিয়ত বলছে, নেতাদের এই সফর সাংগঠনিক নয়। তাদের দাবি, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সফরে এসেছেন তাঁদের নেতারা।

মাওলানা ফজলুর রহমানকে পাকিস্তানের অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জানা গেছে, সাত দিনের বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি।

তাঁকে অতিথি করে নিয়ে এসেছেন খতমে নবুয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ। মাওলানা হামিদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘আগামী ১৫ নভেম্বরের প্রোগ্রামের জন্য আমরা তাঁকে দাওয়াত দিয়ে এনেছি। ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আছে। গতকাল থেকেই অতিথিদের আসা শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের মেহমানরা ১৯ তারিখে বিদায় নেবেন। আর দেওবন্দের (ভারতের) মেহমানরা আরও আগেই চলে যাবেন।’ এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

এদিকে, মাওলানা ফজলুর রহমান বেশ কয়েকটি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী। মাওলানা ফজলুর রহমানসহ অন্য আলেমদের কয়েকজন ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক ফিদায়ে মিল্লাত কনফারেন্সে’ অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেনেরও। তবে তিনি সরকারি সফরে সৌদি আরবে থাকায় অংশ নিতে পারেননি।

আন্তর্জাতিক খতমে নবুওত মহাসম্মেলনের আগে দেশে না থাকায় সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টার সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন মধুপুরের পীর আবদুল হামিদ। তাঁর সমালোচনার জবাবে আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাস দিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেছেন, মধুপুরের পীরের বক্তব্য অসত্য। ধর্ম উপদেষ্টা লিখেছেন 'ওমরাহর নামে ধর্ম উপদেষ্টা পালিয়ে গেছে—মধুপুরের পীরের এ বয়ান কাল্পনিক ও বিদ্বেষপূর্ণ। আমাকে কেন পালাতে হবে? আমি কী চোর? নাকি আমি তাঁর অধীনে চাকরি করি।'

আজ শুক্রবারে মিরপুরের আরজাবাদ মাদ্রাসার মসজিদে জুমার নামাজের আগে বয়ান করবেন মাওলানা ফজলুর রহমান। শনিবার তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া রোববার (১৬ নভেম্বর) মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের মধুপুর মাদ্রাসায় একটি আয়োজনে অংশ নেবেন। পরদিন সোমবার (১৭ নভেম্বর) সিলেট আলিয়া মাঠ ময়দানে মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

আর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের হারমনি মিলনায়তনে সুধী সমাবেশ রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন মাওলানা ফজলুর রহমান। ওই অনুষ্ঠানে মাহমুদ মাদানি থাকবেন না বলে জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক।

‘কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন’ জোরদার করতে বাংলাদেশে

সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশে সফরে থাকা জমিয়তের আলোচিত নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান ঢাকায় একটিমাত্র রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তবে অরাজনৈতিক যেসব অনুষ্ঠানে জমিয়তের বিদেশি নেতারা অংশ নেবেন সেগুলোরও আয়োজক জমিয়ত সমর্থক আলেমরাই।

সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এমন আলোচনা রয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর আলোচিত এই রাজনৈতিক নেতা ও বক্তারা বাংলাদেশে এসেছেন মূলত কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে। আগামীকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন’ হতে যাচ্ছে। কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে ‘সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ’। সংগঠনটি অনলাইন ও অফলাইনে এ সম্মেলন নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক স্ট্রিমের কাছে দাবি করেন, জমিয়ত নেতাদের বাংলাদেশ সফর কোনো দলীয় সফর নয়। নেতারা এসেছেন মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে। তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলনের জন্য মধুপুরের পীর সাহেব নিজে দাওয়াত দিয়ে তাঁদের এনেছেন। তবে তাঁরা তো জমিয়তের নেতৃবৃন্দ। তাঁদের আমরা এয়ারপোর্টেও রিসিভ করেছি। তাঁদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমরাও সাথে থাকবো।’

মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, পৃথিবীর যত জায়গায় দেওবন্দের অনুসারীরা আছে তত জায়গায় জমিয়ত আছে— ‘অন্যান্য দেশের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে বাংলাদেশের জমিয়তের সম্পর্ক নেই, যদিও ব্যক্তিগত যোগাযোগ রয়েছে। আমরা গেলে ওনারা সংবর্ধনা দেন; ওনারা এলে আমরা বিভিন্ন আয়োজন করি। জামায়াতে ইসলামীর যেভাবে অন্যদেশের জামায়াতের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রয়েছে আমাদের সেভাবে সম্পর্ক নেই।’

সমাবেশের সময় ও প্রেক্ষাপট নিয়ে বিশ্লেষকের পর্যবেক্ষণ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ের গবেষক আলতাফ পারভেজ স্ট্রিমকে বলেন, ‘১৫ তারিখের সমাবেশটা নিয়ে আমি নিজেও উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন এই অর্থে যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার সময়গুলোতেই এই ধরনের সমাবেশগুলো হয়। পাকিস্তানেও আহমদিয়াদের এই ইস্যু নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে। সেখানে আহমেদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করেছে। তারপরেও কিন্তু শান্তি আসে নাই। এইটা নিয়ে অনেক দাঙ্গা হয়েছে।’

এই বিশ্লেষকের মতে, ‘এই মুভমেন্টটা যারা করে তারা বিভিন্ন সময়ের ক্রান্তিকালে রহস্যজনকভাবে আবির্ভূত হয় এবং বড় ধরনের সমাবেশ করে। এটা পাকিস্তানেরও অভিজ্ঞতা এবং আমাদের দেশেও খালেদা জিয়ার আমলে ১৯৯১-এ, অভ্যুত্থানের পরে সবে যখন দেশে একটা স্থিতিশীলতা আসছে তখন শুরু হয় আহমদিয়া বিরোধী আন্দোলন। খতমে নবুওয়ত নামের একটা সংগঠন এটা করে।’

আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘একটা আমব্রেলা বডির ছায়ার অধীনে এই কাজগুলো হয়। বাংলাদেশে আহমদিয়ারা একটা ছোট কমিউনিটি, প্রায় নগন্য বলা যায়। এখানকার রাজনীতি ও অর্থনীতিতে তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো উপস্থিতিই নাই। হঠাৎ করে এটাকে উপলক্ষ্য করে এখন এই সমাবেশটা ডাকা হয়েছে।’ তাঁর মতে, বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি প্রতিদিন টগবগ করে ফুটছে আর এমন সময়ে সরকার এই ধরনের একটা সমাবেশ করার অনুমতি দিলো, এটা বিস্ময়কর এবং রহস্যজনক।’

পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এই সময়ে নেতাদের আগমনকেও তিনি রহস্যজনক বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাঁরা যে বিষয়ের জন্য আসছেন, সেটা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কিছু বলার থাকলে তারা বিবৃতি দিয়ে বলতে পারেন।’

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সমাবেশ একটা বাড়তি শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন আলতাফ পারভেজ। তাঁর পর্যালোচনায়, ‘আমাদের পুলিশ বাহিনীর যে অবস্থা, কোনো অস্থিতিশীলতা হলে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। যে কেউ এটাকে ব্যবহার করে যে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত