leadT1ad

দিল্লি ও ইসলামাবাদে বোমা বিস্ফোরণ: পারস্পরিক দোষারোপে বাড়ছে উত্তেজনা

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণস্থলে নিরাপত্তা কর্মী এবং ফরেনসিক দলের একজন সদস্য কাজ করছেন। ছবি: রয়টার্স।

একদিনের ব্যবধানে দিল্লি ও ইসলামাবাদে (১০ ও ১১ নভেম্বর) পরপর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের পারস্পরিক অভিযোগ-বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করছে। এতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ভারতের রাজধানী দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে। সেখানে একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর এটি দিল্লির সবচেয়ে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা। পরদিন পাকিস্তানের ইসলামাবাদের একটি জেলা আদালত ভবনের বাইরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা একে গত এক দশকের মধ্যে শহরের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

দিল্লির গাড়িবোমা বিস্ফোরণটি এখন নিশ্চিতভাবে পাকিস্তানভিত্তিক জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম)-এর সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) হামলাকারী হিসেবে কাশ্মীরের পুলওয়ামার একজন চিকিৎসককে শনাক্ত করার দাবি করেছে। অন্যদিকে, ইসলামাবাদের আদালতের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) একটি দলছুট ছোটো জঙ্গি গোষ্ঠী। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, এ হামলার পেছনে ভারত ও আফগান মদদপুষ্ট চক্রের হাত রয়েছে।

তদন্তে দিল্লির হামলাস্থলে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও একটি শক্তিশালী যৌগিক বিস্ফোরকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ইসলামাবাদে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, আত্মঘাতী হামলাকারী আদালত ভবনে প্রবেশে ব্যর্থ হয়।

এই বিস্ফোরণগুলো এমন এক সময় ঘটেছে, যখন দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রবিরতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে, সীমান্তে ছোটখাটো সংঘর্ষ চলছে, আর রাজনৈতিক চাপও বাড়ছে। ফলে পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ‘কোনো করুণা করা হবে না’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। অপরদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশকে ‘যুদ্ধাবস্থায়’ ঘোষণা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাতিসংঘ দুই পক্ষকেই সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।

নয়াদিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণ

সোমবার (১০ নভেম্বর, ২০২৫) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে পুরাতন দিল্লির রেড ফোর্ট মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর কাছে একটি সাদা হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। গাড়িটি বিস্ফোরণের আগে ধীর গতির যানজটে দাঁড়িয়ে ছিল। ১২ নভেম্বর প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গাড়িটি একাধিক স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছিল। শুরুতে এটি সিএনজি বিস্ফোরণ মনে হলেও ফরেনসিক তদন্তে নিশ্চিত হয় যে এটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, বিস্ফোরণের আগে একটি সাদা সেডান গাড়ি পুলিশ ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথমদিকে ধারণা করা হয়েছিল, এটি হয়তো দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণ। তবে তদন্তকারীরা পরে নিশ্চিত হন, এটি একটি পরিকল্পিত আত্মঘাতী হামলা, যা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই বিস্ফোরিত হয়।

হামলায় নিহত ১৩ জনের মধ্যে হামলাকারী, একজন ট্যাক্সিচালক (পঙ্কজ সাহনি) এবং কয়েকজন পর্যটক ছিলেন। নিহতদের শনাক্তকরণে ব্যবহার করা হয় পোশাক, উল্কি ও গাড়ির অংশ। অন্তত ২৪ জন দগ্ধ ও ছররা আঘাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। ১০টির বেশি গাড়ি পুড়ে যায়; মেট্রো প্রবেশদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিরাপত্তার কারণে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিস্ফোরণের পর রাজধানীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিমানবন্দর, রেলস্টেশন ও ঐতিহাসিক স্থানে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ, স্থায়ীভাবে পঙ্গুদের ৫ লাখ এবং গুরুতর আহতদের ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন।

১১ নভেম্বর থেকে এনআইএ তদন্তের দায়িত্ব নেয়। মামলায় ইউএপিএ ও বিস্ফোরক আইন প্রয়োগ করা হয়। প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ডা. উমর মোহাম্মদ (বয়স ৩২)। তিনি কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্র। তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা তল্লাশি জোরদার হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে তিনি আগেই বিস্ফোরণ ঘটান।

বিস্ফোরণের তিন সপ্তাহ আগে কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম)-এর সমর্থনে পোস্টার দেখা গিয়েছিল, যা সম্ভাব্য সংগঠিত তৎপরতার ইঙ্গিত দেয়। ডা. উমর মোহাম্মদ টেলিগ্রাম-ভিত্তিক এক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জেইএম-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ভারতে জেইএম-এর নারীবিষয়ক শাখা গঠনের দায়িত্বে ছিলেন এবং লালকেল্লা এলাকায় কয়েকবার নজরদারি চালান।

১১ নভেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে একটি জেলা আদালতের গেটের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন পরীক্ষা করছেন। ছবি: এপি।
১১ নভেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে একটি জেলা আদালতের গেটের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন পরীক্ষা করছেন। ছবি: এপি।

এ ঘটনায় তাঁর দুই সহযোগী—যাঁরা একই কলেজের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক—গ্রেপ্তার হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। এতে ‘হোয়াইট-কলার টেররিজম’ বা শিক্ষিত পেশাজীবীদের জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, উচ্চশিক্ষিত ও অনলাইনে চরমপন্থায় প্রভাবিত ব্যক্তিদের ব্যবহার করে এখন বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

দিল্লি-এনসিআর ও ফারিদাবাদ থেকে আরও ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ফরেনসিক তদন্তে বিস্ফোরকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও শক্তিশালী যৌগিক উপাদান পাওয়া গেছে। ফারিদাবাদে ধরা পড়া এক চক্রের কাছ থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানের আতঙ্কে আগেভাগে বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারী, ফলে ক্ষতি কিছুটা সীমিত থাকে।

হামলার উদ্দেশ্য ছিল দিল্লির আসন্ন নির্বাচনে অস্থিরতা সৃষ্টি করা এবং কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের নিরাপত্তা বয়ানকে চ্যালেঞ্জ জানানো। বিস্ফোরণের কয়েক সপ্তাহ আগে কাশ্মীরে জেইএম-এর প্রচারপত্র পাওয়া গিয়েছিল।

ভুটানে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘটনাটিকে ‘কাপুরুষোচিত ষড়যন্ত্র’ বলে নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে দেশে ফিরে আসেন। ১২ নভেম্বর তিনি নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে বিচার ও প্রতিশোধের আশ্বাস দেন। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জেইএম-কে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনে। পাকিস্তান একে ‘ভিত্তিহীন অপপ্রচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করে।

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস গোয়েন্দা ব্যর্থতার সমালোচনা করে, আর মুসলিম সংগঠনগুলো নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায়। পুলওয়ামা ও উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে প্রচারসামগ্রী উদ্ধার করা হয়। ডা. উমরের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। কাশ্মীর, পাঞ্জাব সীমান্ত ও কেরালায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, বাংলাদেশ ও ভুটান ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।

ইসলামাবাদ জেলা আদালত কমপ্লেক্সের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলা

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর, ২০২৫) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ইসলামাবাদের জি–১১ এলাকায় জেলা আদালত কমপ্লেক্সের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটে। হামলাকারী ছিলেন ২০-এর কোঠার এক যুবক। তিনি পিঠে ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের বোমা বহন করছিলেন, যার সঙ্গে বল বেয়ারিং যুক্ত ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি ১০-১৫ মিনিট ধরে প্রবেশদ্বারের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করেন। নিরাপত্তা চৌকিতে প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে তিনি সেখানে বিস্ফোরণ ঘটান।

এর আগে সোমবার রাতে (১০ নভেম্বর) ওয়ানার একটি ক্যাডেট কলেজে জঙ্গি হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়, যেখানে একটি গাড়িবোমা ও পাঁচজন বন্দুকধারীকে সেনারা প্রতিহত করে। ওই ঘটনায় তিনজন নিহত হয়।

আদালতের সামনের হামলায় নিহত ১২ জনের মধ্যে চারজন আইনজীবী, দুইজন বিচারক, তিনজন পুলিশ সদস্য ও তিনজন সাধারণ নাগরিক। এতে আহত ২৭ থেকে ৩৬ জন ইসলামাবাদের পিআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা নেন; কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলায় আদালত ভবনের জানালা ভেঙে যায়, একটি পুলিশ ভ্যান ধ্বংস হয়।

তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর একটি দলছুট গোষ্ঠী জামায়াতুল আহরার (জুয়া) ‘খোরাসান ডায়েরি’ নামের একটি মাধ্যমে হামলার দায় স্বীকার করে। তারা জানায়, আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এ আক্রমণ চালানো হয়েছে। টিটিপি সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও বিশ্লেষকেরা উভয় গোষ্ঠীর আফগানভিত্তিক নেটওয়ার্কের যোগসূত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। ২০২৫ সালে পাকিস্তানে টিটিপির হামলার সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি জানান, হামলাকারীর পরিচয় উদ্ঘাটনের কাজ চলছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান ‘যুদ্ধাবস্থায়’ রয়েছে এবং তিনি ‘ভারত-সমর্থিত আফগান গোষ্ঠীগুলোকেই’ দায়ী করেন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও ভারতের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ আনেন, যা ভারত ‘ভিত্তিহীন অপপ্রচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। আফগান তালেবান এ হামলার নিন্দা জানায়, তবে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে।

ওয়ানায় চলমান সামরিক অভিযানে ১৫ জঙ্গি নিহত হয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। লাহোর ও পেশাওয়ারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানান, হামলাকারীরা আফগান ভূখণ্ডের সহায়তা পেয়েছিল।

তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল সীমান্ত উত্তেজনা আরও বাড়ানো। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, আফগান তালেবানরা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর শীর্ষ নেতাদের আশ্রয় দিচ্ছে। এর সূত্রপাত অক্টোবর ২০২৫-এ কাবুল ও কান্দাহারে পাকিস্তানি বিমান হামলার পর—যা ১৯৪৭ সালের পর প্রথম এমন অভিযান।

আঞ্চলিক প্রভাব ও বেড়ে চলা উত্তেজনা

দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের রাজধানীতে এই ধারাবাহিক হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। এতে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা-বালাকোট সংকট ও ২০২৫ সালের মে মাসের ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের স্মৃতি ফিরে এসেছে, যখন কাশ্মীরের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময় হয়েছিল। ভারতের পক্ষ থেকে জেইএম-এর সম্পৃক্ততা উল্লেখ করে পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়েছে, আর ইসলামাবাদ পাল্টা অভিযোগে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র’ এবং আফগান সংযোগের কথা বলছে।

পারস্পরিক দোষারোপের কারণে অস্ত্রবিরতি ভেঙ্গে পড়ারন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইসলামাবাদে ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। আফগান–পাকিস্তান সীমান্ত বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর টিটিপি ও জুয়া-এর মতো গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয়তা কেবড়ে চলেছে। দুই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করছে। ভারতে নির্বাচনী তৎপরতা এবং পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট উভয়কেই কঠোর অবস্থানে উসকে দিচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি ‘প্রতিশোধের ধারাবাহিক চক্র’ তৈরির ঝুঁকি তৈরি করছে, যা কাশ্মীর বা ডুরান্ড সীমান্তে প্রক্সি যুদ্ধের নতুন ধাপ ডেকে আনতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে, আর জাতিসংঘ সতর্ক করেছে ‘প্রতিশোধমূলক সংঘাতের চক্র’ থেকে বের হয়ে আসার জন্য।

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান, এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Ad 300x250

সম্পর্কিত