leadT1ad

পাকিস্তানে সামরিক সংস্কারের পেছনে কি ভারতের সঙ্গে সংঘাত

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৫
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান আসিম মুনির সেনাদের একটি মাঠ প্রশিক্ষণ মহড়ায় রক্তব্য রাখছেন। ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বৃহস্পতিবার দেশের ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেন। এটি সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক ও বিচার বিভাগীয় পুনর্গঠন।

সপ্তাহের শুরুতে সংসদের দুই কক্ষেই সংশোধনীটি পাস হয়। বিরোধী দলের প্রতিবাদ এবং নাগরিক সমাজের একাংশ ও কিছু বিচারকের সমালোচনার মধ্যেও পাস হয় এ আইন। এই সংশোধনী পাকিস্তানের উচ্চ আদালত ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনে।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদের ব্যাপক সংশোধন। এই অনুচ্ছেদে বেসামরিক সরকার ও সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক নির্ধারিত হয়।

সংশোধনীটি শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের আজীবন ফৌজদারি মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়। সামরিক বাহিনীর কমান্ড কাঠামো নতুনভাবে সাজানো হয়। এতে স্থলবাহিনীর প্রভাব আরও বাড়ে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, এ ধরনের বিতর্কিত সংস্কার পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠিত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির সঙ্গে সংঘর্ষ তৈরি করতে পারে। এতে দেশের নাজুক বেসামরিক-সামরিক সম্পর্ক আরও অস্থির হতে পারে।

নতুন কমান্ড কাঠামো

সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদে নতুন একটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে—চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ)। এর ফলে সেনাপ্রধান বিমানবাহিনী (পিএএফ) ও নৌবাহিনী (পিএন)-এর ওপরও কমান্ড ক্ষমতা পাবেন।

বর্তমান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ২০২২ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব নেন। এ বছর ২০ মে তাকে পাঁচ-তারকা মর্যাদা দেওয়া হয়। পাকিস্তান-ভারতের চার দিনের সংঘাত শেষ হওয়ার ১০ দিন পর তিনি এ পদোন্নতি পান। পাকিস্তানের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় পাঁচ-তারকা কর্মকর্তা। এর আগে ১৯৬০-এর দশকে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান এ মর্যাদা পেয়েছিলেন। বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর কোনো কর্মকর্তা এখনো পাঁচ-তারকা পদ পাননি।

সংশোধনী অনুযায়ী, এই মাসের শেষে যৌথ বাহিনী প্রধানের (সিজেসিসি) পদ বিলুপ্ত করা হবে। বর্তমানে এ পদে আছেন চার-তারকা জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, যিনি ২৭ নভেম্বর অবসর নেবেন। আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের (সিএনএসসি) নতুন পদ সৃষ্টি। এটি পাকিস্তানের পারমাণবিক কমান্ড তত্ত্বাবধান করবে। এই পদ কেবল সেনাবাহিনীর একজন অফিসারই পাবেন। তার মেয়াদ তিন বছর, যা সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।

সংশোধনী পাঁচ-তারকা পদগুলোকে সম্মানসূচক মর্যাদা থেকে কার্যকর সাংবিধানিক ক্ষমতাসম্পন্ন পদে রূপান্তর করে। নতুন ব্যবস্থায় পাঁচ-তারকা কর্মকর্তারা আজীবন ফৌজদারি দায়মুক্তি পাবেন। তারা জীবনভর পদমর্যাদা ও সুবিধা বজায় রাখবেন এবং ইউনিফর্মে থাকবেন। তাদের অপসারণে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন হবে। অথচ একটি নির্বাচিত সরকারকে সরাতে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ রীমা ওমর বলেন, সরকার এসব পদকে ‘সম্মানসূচক’ বললেও সংশোধনীতে স্পষ্ট ক্ষমতার ইঙ্গিত রয়েছে। তার মতে, আজীবন দায়মুক্তি আইনের শাসনের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক। এক সাবেক তিন-তারকা জেনারেলও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিবর্তনগুলো মূলত সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও জোরদার করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

সেনাপ্রধানের মেয়াদও বাড়ছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের কয়েক ঘণ্টা পর সরকার তিন বাহিনীর আইনেও সংশোধনী আনে। সংশোধিত আর্মি অ্যাক্ট অনুযায়ী, সেনাপ্রধান সিডিএফ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার দিন থেকেই তার নতুন মেয়াদ গণনা শুরু হবে।

গত বছর সংসদ তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করেছিল। সে অনুযায়ী, আসিম মুনিরের মেয়াদ ২০২৭ পর্যন্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু নতুন পরিবর্তনের ফলে তার মেয়াদ আরও দীর্ঘ হবে। মাসের শেষে সংশোধনী কার্যকর হলে মুনির কমপক্ষে নভেম্বর ২০৩০ পর্যন্ত সিওএএস ও সিডিএফ—দুটি পদই ধরে রাখবেন।

সংশোধনীতে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
সংশোধনীতে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

সামরিক প্রাধান্য ও ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের ভূমিকা

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হলো সামরিক বাহিনী, বিশেষ করে সেনাবাহিনী। দেশটি চারটি সামরিক অভ্যুত্থান দেখেছে। দীর্ঘ সময় সামরিক শাসন চলেছে। এমনকি বেসামরিক সরকার থাকলেও সেনাবাহিনীর প্রভাব সবসময় ছিল। সেনাপ্রধানকে বহুদিন ধরেই দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।

কখনো কোনো প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। অন্যদিকে চারজন সামরিক শাসকের মধ্যে তিনজনই নয় বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন।

সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া ২০২২ সালের নভেম্বরে বিদায়ী ভাষণে স্বীকার করেন যে সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে। তিনি এই ভুল থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিও দেন।

তবে তিন বছর পর মানবাধিকার সংগঠন ও বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে, এখনো পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন হয়নি। বরং অনেকে বলছেন, সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর আরও দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সামরিক কাঠামোর বড় পরিবর্তন এমন এক সময়ে এলো, যখন পাকিস্তান মে মাসে ভারতের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি সংঘাতে জড়িয়েছিল। এতে প্রশ্ন উঠেছে—এই সংঘাত কি সংশোধনীর পেছনে কোনো ভূমিকা রেখেছে?

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকিল শাহ মনে করেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতই সেনাপ্রধানের ক্ষমতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেয়। তার মতে, ‘একীভূত কমান্ড’-এর যুক্তি দেখিয়ে সেনাবাহিনীর আধিপত্য আনুষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে।

অন্যদিকে সংশোধনীর সমর্থকরা ভিন্ন মত দেন। আইন ও বিচার বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আকিল মালিক বলেন, এই সংশোধনী পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কাঠামোর দুর্বলতা দূর করতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা সমন্বয় আরও জোরদার হয়েছে। জাতীয় বীরদের সম্মান সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সাবেক ভাইস অ্যাডমিরাল আহমেদ সাঈদও সংশোধনীটিকে ভবিষ্যতমুখী প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার হিসেবে উল্লেখ করেন। তার মতে, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত দেখিয়েছে যে পাকিস্তানের কমান্ড কাঠামো এখনো ১৯৭০ দশকের মডেলের ওপর ভিত্তি করে চলছে, যা আধুনিক বহুমাত্রিক যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত নয়।

ভারসাম্যহীনতার আশঙ্কা

কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, সংশোধনীর মূল লক্ষ্য আধুনিকায়ন নয়; বরং প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা আরও কেন্দ্রীভূত করা। তাদের মতে, সিডিএফ পদ সৃষ্টি সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব আরও দৃঢ় করবে।

অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, যখন সরকারি বিবরণ অনুযায়ী পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ‘স্পষ্ট জয়’ পেয়েছে, তখন কমান্ড কাঠামো বদলানোর প্রয়োজন কী ছিল?

এক অবসরপ্রাপ্ত তিন-তারকা জেনারেল বলেন, সিজেসিসি পদটি প্রতীকী হলেও সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির ভারসাম্য বজায় রাখত। তার মতে, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী কৌশলগত পরিকল্পনা ও শীর্ষ পদোন্নতিতে প্রভাব হারাতে পারে। এতে ক্ষোভ তৈরি হতে পারে এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

সিজেসিসি পদটি চার-তারকা মর্যাদার এবং প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান সামরিক পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্বে থাকে। তাত্ত্বিকভাবে এ পদ যেকোনো বাহিনীর কর্মকর্তাই পেতে পারেন।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মাজিদ নিযামী বলেন, সংশোধনীতে পাঁচ-তারকা পদকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া হলেও যৌথ কার্যকারিতা বজায় রাখা কঠিন হতে পারে। তার মতে, যুদ্ধ আধুনিকায়নের লক্ষ্য হলে সেনাপ্রধানকে দ্বৈত দায়িত্ব না দিয়ে আলাদা একজন সমন্বয়ক কর্মকর্তা রাখা উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন, সিডিএফ পদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা—উভয়ই পরিষ্কারভাবে নির্ধারিত হয়নি।

আকিল শাহ মন্তব্য করেন যে সংশোধনী সেনাপ্রধানের অনানুষ্ঠানিক প্রভাবকে এখন আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।

তবে সাবেক নৌবাহিনী কর্মকর্তা আহমেদ সাঈদ এ সমালোচনার সঙ্গে একমত নন। তার মতে, সংশোধনী কেবল কৌশলগত সমন্বয়ের ভূমিকা স্পষ্ট করেছে। বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বাধীন কমান্ড কাঠামো বজায় রাখবে। সিডিএফ কেবল কৌশলগত পর্যায়ের সমন্বয় করবেন, প্রশাসনিক বা অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ করবেন না। সাঈদের মতে, ‘সেনা আধিপত্য’-এর ধারণা আসলে পুরনো ধ্যানধারণার ফল, বাস্তব সাংবিধানিক কাঠামোর নয়।

সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাম দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং ডান দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের সাথে দেখা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাম দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং ডান দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের সাথে দেখা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

পারমাণবিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ

সংশোধনী পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণকে আইনি স্বীকৃতি দেয়। গবেষণা, উন্নয়ন ও মোতায়েন–সব দায়িত্বই কৌশলগত কমান্ড কাঠামোর অধীনে পড়ে।

একজন সাবেক তিন-তারকা জেনারেল আল জাজিরাকে জানান, নতুন কাঠামোর কার্যপ্রণালি এখনো পরিষ্কার নয়। বর্তমানে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান্স ডিভিশন (এসপিডি) পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং পারমাণবিক সম্পদ পরিচালনা করে।

বিশ্লেষক মাজিদ নিযামী বলেন, সিজেসিসি পদধারী নামমাত্র এসপিডি তত্ত্বাবধান করলেও বাস্তবে সেনাবাহিনীই সবসময় নিয়ন্ত্রণ করেছে। সংশোধনী এখন এই বাস্তবতাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।

তবে সাবেক নৌ কর্মকর্তা আহমেদ সাঈদ বলেন, পরিবর্তন সত্ত্বেও পাকিস্তানের পূর্ণ পারমাণবিক কাঠামো আসলে বেসামরিক নেতৃত্বের অধীনেই পরিচালিত হয়। সাংবিধানিকভাবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

সমালোচকেরা এই সংশোধনীকে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘সাংবিধানিক আত্মসমর্পণ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, এটি সামরিক ক্ষমতাকে নির্বাচনী বৈধতার ওপর বসিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা।

এ পরিবর্তনের সময় ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের জনসম্মুখে উপস্থিতিও বেড়েছে। তিনি একাধিক বিদেশ সফর করেছেন, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরও আছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে বলেছেন তার ‘প্রিয় ফিল্ড মার্শাল’।

অন্যদিকে দুই বছর ধরে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করছেন যে মুনির তার ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই এই দমননীতি চলছে বলে তার অভিযোগ। সামরিক বাহিনী এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পিটিআইকে দল হিসেবে নির্বাচন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে তারা সর্বাধিক আসন পায়, যদিও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জোট সরকার গঠন করে। সরকার ও সামরিক বাহিনী নির্বাচন জালিয়াতির অভিযোগ নাকচ করেছে।

অধ্যাপক আকিল শাহ মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলো প্রয়োজনের তাগিদেই সংশোধনীকে সমর্থন করেছে। তার মতে, গণতান্ত্রিক বৈধতার ঘাটতি এবং পিটিআই-ইমরান খানের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পিএমএল-এন সরকার মুনিরকে তাদের ক্ষমতার প্রধান সহায়ক হিসেবে দেখে।

লাহোরভিত্তিক বিশ্লেষক নিযামী বলেন, সিডিএফ ও সেনাপ্রধানের পদ আলাদা করা হলে সামরিক কাঠামোর ভারসাম্য আরও দৃঢ় হতে পারত। তার আশঙ্কা, সংশোধনী সমন্বয়ের বদলে প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে।

সূত্র: আল-জাজিরা

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত