পাকিস্তানের সিনেট সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংশোধনী অনুমোদন করেছে। এটি দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। সমালোচকেরা বলছেন, এই সংশোধনী সরকারের ওপর এবং শক্তিশালী সেনা নেতৃত্বের ওপর তদারকি দুর্বল করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।
২৭তম সংশোধনীটি সোমবার সন্ধ্যায় সিনেটে গৃহীত হয়। বিরোধী দল অধিবেশন বর্জন করায় কোনো বাধা ছাড়াই এটি পাস হয়। এখন এটি জাতীয় পরিষদে পাস হতে হবে, যেখানে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে কেবল এটি আইনে পরিণত হবে।
তবে সংশোধনীর বিষয়বস্তু ও পাসের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অনেক বিচারপতি ও আইন বিশেষজ্ঞ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে সরকারের সমর্থকরা বলছেন, পরিবর্তনগুলো সময়ের দাবি।
সেনাবাহিনীর কাঠামোয় বড় পরিবর্তন
যদি সংশোধনী কার্যকর হয়, তাহলে এটি সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বকে ফৌজদারি মামলার হাত থেকে আজীবন অব্যাহতি দেবে এবং সামরিক কমান্ড কাঠামোয় মৌলিক পরিবর্তন আনবে। এ পরিবর্তনগুলো মূলত সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে করা হবে।
২৪৩ অনুচ্ছেদে বর্তমানে বর্ণিত আছে, বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার সম্পর্ক। নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ (সিডিএফ) নামে নতুন একটি পদ সৃষ্টি করা হবে, যা সেনাপ্রধানের অধীনে থাকবে। এর ফলে সেনাপ্রধানই নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ওপরও সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব পাবেন। এর ফলে বর্তমান ‘চেয়ারম্যান, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ (সিজেসিএসসি) পদটি বিলুপ্ত হবে। এই পদে থাকা চার তারকাধারী জেনারেল সাহির শামশাদ নভেম্বরের শেষে অবসরে যাচ্ছেন।
স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তানে সেনাবাহিনী, বিশেষত স্থলবাহিনী, সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে। চারটি সামরিক অভ্যুত্থান এবং বহু বছর ধরে সরাসরি ও পরোক্ষ সেনাশাসন সেই প্রভাবকে স্থায়ী করেছে। ফলে সেনাপ্রধান প্রায় সব সময় দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন।
বর্তমান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ২০২২ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব নেন। ২০২৫ সালের মে মাসে তাকে পাঁচ তারকাধারী পদে উন্নীত করা হয়। তিনি পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সামরিক কর্মকর্তা, যিনি ফিল্ড মার্শাল আয়ুব খানের পর এই মর্যাদা পেয়েছেন।
আজীবন বিশেষাধিকার ও দায়মুক্তি
২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে পাঁচ তারকাধারী কর্মকর্তাদের আজীবন দায়মুক্তি দেওয়া হবে। তারা ‘আজীবন পদমর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা ও ইউনিফর্ম’ধরে রাখতে পারবেন। অর্থাৎ, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক মামলা করা যাবে না।
একই সঙ্গে ‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড’ (এনএসসি) নামে একটি নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে, যা দেশের পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনা ও কৌশলগত নিরাপত্তা তদারকি করবে। এই পদে কেবল সেনাবাহিনী থেকেই কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেনাপ্রধানের পরামর্শে।
বর্তমানে পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রেসিডেন্ট ও গভর্নর তাদের মেয়াদকালে কোনো ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হবেন না, তবে পদত্যাগের পর তাদের সেই সুরক্ষা থাকে না। অন্যদিকে সামরিক কর্মকর্তাদের এ ধরনের আইনি সুরক্ষা আগে ছিল না। নতুন সংশোধনী তা সংবিধানে যুক্ত করবে।
বিতর্ক ও সমালোচনা
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার শনিবারই সংশোধনীটি সিনেটে উপস্থাপন করেন, যেদিন মন্ত্রিসভা এটি অনুমোদন দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তখন আজারবাইজানের বাকু সফরে ছিলেন, তবে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নেন। রোববার দেশে ফিরে তিনি মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধনীর চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করেন। সোমবারই সেটি সিনেটে পাস হয়। তুলনামূলকভাবে, আগের ২৬তম সংশোধনী নিয়ে মাসের পর মাস বিতর্ক চলেছিল।
এই তড়িঘড়ি করে পাস করানোয় সমালোচকেরা বলছেন, সরকার সেনাবাহিনীকে আইনি দায়মুক্তি দিতে এবং বেসামরিক তদারকি দুর্বল করতে চাইছে।
লাহোরের সংবিধান বিশেষজ্ঞ রিদা হোসেন আল জাজিরাকে বলেন, ‘যে রাষ্ট্রে দায়মুক্তি সংবিধানে সংরক্ষিত হয়, সেখানে গণতন্ত্র টিকে না। একজন অনির্বাচিত সেনা কর্মকর্তা এমন ক্ষমতা ও সুরক্ষা পাচ্ছেন, যা কোনো নির্বাচিত নেতারও নেই।’
এইভাবে, ২৭তম সংশোধনী পাকিস্তানের রাজনীতি, সেনা কাঠামো ও সংবিধানিক ভারসাম্যে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে—যার প্রতিক্রিয়া দেশটির গণতন্ত্রে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলবে।
চলতি বছরের মে মাসে ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী প্রধান আসিম মুনিরকে যৌথভাবে ফিল্ড মার্শালের দায়িত্ব অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি (মাঝে) এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ (ডানে)।
পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থায় প্রস্তাবিত পরিবর্তন
২৭তম সংশোধনীর খসড়ায় পাকিস্তানে একটি স্থায়ী ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট (এফসিসি) গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই আদালতের নিজস্ব প্রধান বিচারপতি থাকবেন এবং এতে পাকিস্তানের চারটি প্রদেশ ও ইসলামাবাদ থেকে সমান সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। আদালতটি মূলত কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে, কিংবা প্রদেশগুলোর পারস্পরিক বিরোধ মীমাংসা করবে।
এই আদালতের বিচারপতিরা ৬৮ বছর বয়সে অবসর নেবেন, যেখানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির অবসর বয়স ৬৫ বছর। ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
বিচারপতি বদলি ও প্রেসিডেন্টের নতুন ক্ষমতা
সংশোধনীর খসড়ায় প্রেসিডেন্টকে নতুন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তান (জেসিপি)-এর সুপারিশে একজন বিচারপতিকে এক উচ্চ আদালত থেকে অন্য উচ্চ আদালতে স্থানান্তর করা যাবে।
২৬তম সংশোধনীর পর বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, বিচারপতির সম্মতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও সংশ্লিষ্ট দুই উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির পরামর্শের ভিত্তিতেই বদলি করা যেত। কিন্তু নতুন সংশোধনীতে বিচারপতির সম্মতির শর্তটি তুলে দেওয়া হয়েছে।
যদি কোনো বিচারপতি বদলি মানতে অস্বীকার করেন, তবে তিনি জেসিপি-র সামনে কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবেন। যদি কমিশন তার কারণ গ্রহণ না করে, তবে ওই বিচারপতিকে অবসর নিতে হবে।
সমালোচনা: স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হুমকি
লাহোরভিত্তিক সংবিধান বিশেষজ্ঞ রিদা হোসেন বলেছেন, এই পরিবর্তনের ফলে বিচারপতিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বদলি করা সম্ভব হবে। যদি কেউ অস্বীকার করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে জবাবদিহি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বদলি প্রত্যাখ্যান করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া আসলে বিচারপতিদের ওপর প্রশাসনিক চাপ প্রয়োগের উপায়। এটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থাকে ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবে।’
আন্তর্জাতিক বিচারপতিদের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টস (আইসিজে)-র আইনি উপদেষ্টা রিমা ওমর বলেন, ‘এই সংশোধনী কার্যকর হলে নির্বাহী (সরকার) এমন বিচারপতিদের নিয়োগ দেবে, যারা আবার সেই নির্বাহীকে জবাবদিহির আওতায় রাখবে। এটি স্পষ্টতই সরকারের দায়মুক্তি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা।’
তিনি আরও বলেন, এই আদালত ভবিষ্যতে সরকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলোকেও সংবিধানগত বৈধতা দিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় সিনিয়র বিচারপতি মানসুর আলী শাহ সংশোধনীটির কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি–কে লেখা এক খোলা চিঠিতে বলেন, ‘এই আদালত কোনো প্রকৃত সংস্কার নয়; এটি বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের একটি রাজনৈতিক কৌশল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ ইতিহাসে নেতৃত্বের সাংবিধানিক ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হয়। নীরবতা বা নিষ্ক্রিয়তা তখন প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতার প্রতীক হয়ে ওঠে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংশোধনী একটি ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত তৈরি করবে এবং সুপ্রিম কোর্টকে কেবল একটি ‘আপিল আদালত’ হিসেবে রূপান্তরিত করবে।
সরকারের যুক্তি ও সমর্থকদের মতামত
সরকার দাবি করেছে, সুপ্রিম কোর্টে ক্রমবর্ধমান সংবিধানিক মামলার কারণে নিয়মিত দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি বিলম্বিত হচ্ছে। তাই এই চাপ কমাতে একটি বিশেষায়িত সংবিধান আদালত প্রয়োজন।
আর ২৪৩ অনুচ্ছেদ সংশোধনের উদ্দেশ্য হলো, সশস্ত্র বাহিনীর প্রশাসনিক কাঠামো ও প্রক্রিয়ায় ‘স্পষ্টতা ও শৃঙ্খলা’ আনা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাফিজ আহসান আহমদ খোখর বলেন, স্থায়ী এফসিসি প্রতিষ্ঠা ‘কেন্দ্র–প্রদেশ বিরোধের দ্রুত ও বিশেষজ্ঞ ভিত্তিক নিষ্পত্তি’ নিশ্চিত করবে।
তার মতে, ‘এই আদালত সংবিধানের ব্যাখ্যা, আইনগুলোর বৈধতা নির্ধারণ ও পরামর্শমূলক মত প্রদান করতে পারবে। এতে বিচারপ্রক্রিয়ায় দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বাড়বে।’
খোখর আরও বলেন, চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) পদ সৃষ্টি সামরিক কমান্ডে ঐক্য আনবে এবং সমন্বয় বাড়াবে, তবে তিন বাহিনীর স্বতন্ত্রতা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
তিনি যুক্তি দেন, ‘এই সংস্কারগুলো পাকিস্তানের প্রশাসনিক বাস্তবতা ও রাষ্ট্রীয় জটিলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এগুলো একটি পরিণত, নিয়মভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে, যেখানে বিচার, বেসামরিক ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের ভূমিকা সুশৃঙ্খলভাবে পালন করবে।’
সংশোধনী নিয়ে গভীরতর সমালোচনা
সরকারের যুক্তি ও ব্যাখ্যা এখনো সংশয়বাদীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) প্রশ্ন তুলেছে, কেন সরকার এত তাড়াহুড়ো করে এই সংশোধনীটি উপস্থাপন করল।
সংস্থাটি বলেছে, ‘সরকার যেভাবে রাজনৈতিক বিরোধী দল, আইনজীবী সমাজ এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে কোনো অর্থবহ পরামর্শ ছাড়াই বিলটি সংসদে তুলেছে, তা এই সংশোধনীর পেছনের উদ্দেশ্য নিয়েই সন্দেহ তৈরি করে।’
ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টস (আইসিজে)-র প্রতিনিধি রিমা ওমর সতর্ক করে বলেছেন, এই সংশোধনী বিচারব্যবস্থার কাঠামোয় ‘মূলগত পরিবর্তন’ আনবে।
তিনি বলেন, ‘২৭তম সংশোধনীর ফলে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট কেবল একটি আপিল আদালতে পরিণত হবে। এটি আর “সুপ্রিম কোর্ট অব পাকিস্তান” থাকবে না, বরং শুধু “সুপ্রিম কোর্ট”। আদালতের প্রধানও আর “চিফ জাস্টিস অব পাকিস্তান” নন, বরং “চিফ জাস্টিস অব দ্য সুপ্রিম কোর্ট” হবেন।’
ওমরের মতে, এই পরিবর্তনের ফলে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদে বিচারব্যবস্থা অনেকাংশে নির্বাহী বিভাগের (সরকারের) অধীন হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘সরকার ও সংসদের কার্যক্রমের ওপর প্রকৃত কোনো জবাবদিহি বা পর্যালোচনার সুযোগ থাকবে না। এমনকি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের পক্ষে কোনো রায়ও বর্তমান ব্যবস্থার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।’
সংবিধান বিশেষজ্ঞ রিদা হোসেন সতর্ক করে বলেছেন, সংশোধনীর ফলে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক জবাবদিহির মধ্যে থাকলেও অ-নির্বাচিত ব্যক্তিদের (বিশেষত সামরিক কর্মকর্তাদের) জন্য পূর্ণ দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি গণতান্ত্রিক ভোটের ওপর সামরিক প্রভাবের শ্রেষ্ঠত্বকে সাংবিধানিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়।’
রিমা ওমর আরও উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো—বিশেষ করে পিপিপি—অতীতে সেনাবাহিনীকে সাংবিধানিক সুরক্ষা দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু এখন তারা শাসক জোটের অংশ হয়ে এই অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
তিনি বলেন, ‘২৭তম সংশোধনী আসলে একটি সাংবিধানিক আত্মসমর্পণ। এটি নির্বাচিত রাজনীতির ওপর সামরিক ক্ষমতার চূড়ান্ত বৈধতা প্রদান করছে।’
সূত্র: আল-জাজিরা